

The Ekushey Book Fair of 2024 in Bangladesh heralded a celebration of literature like no other, showcasing a diverse array of books that captured the essence of Bangladeshi culture and intellect. Amongst the bustling stalls and eager readers, certain books emerged as beacons of literary excellence, earning recognition as the finest offerings of the fair. These books traversed genres and themes, delving into the depths of human experience, societal issues, and historical narratives with profound insight and creativity.
From evocative works of fiction that transported readers to distant realms, to poignant memoirs that offered intimate glimpses into personal journeys, the books at the Ekushey Book Fair served as mirrors reflecting the multifaceted nature of Bangladeshi society. Each title bore the mark of its author's ingenuity and passion, resonating deeply with audiences and sparking meaningful discourse.
As visitors navigated the labyrinthine pathways of the fair, they were drawn to these standout books, captivated by their compelling narratives, rich characterizations, and thought-provoking themes. Whether exploring themes of identity, resilience, or the human condition, each book left an indelible impression on the hearts and minds of readers, fostering a deep appreciation for the power of storytelling.
As we delve into the pages of these exceptional books, we embark on a journey of discovery, enlightenment, and connection, celebrating the richness and diversity of Bangladeshi literature. In a world inundated with noise and distractions, these books serve as reminders of the enduring importance of literature in shaping our understanding of the world and ourselves.

Flap in Bengali
ভয়াবহ এক অভিযোগ তুলে নির্যাতন করা হয়েছিল তাকে। বের করে দেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস থেকে। বাঁচার তাগিদে সে একসময় যোগ দেয় নির্যাতকদের দলে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। জেলখানায় প্রিয় বন্ধুর পরিণতি জেনে একসময় মুখোমুখি হয় নতুন জিজ্ঞাসার।
‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে তুমি কীভাবে করো স্বাধীনতাবিরোধীদের সংগঠন?’
‘স্যার, আমি করি না। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে যে শাস্তি দেন মাথা পেতে নেব।’
প্রক্টর স্যার হুংকার দিয়ে ওঠেন।‘কী প্রমাণ চাও তুমি? তোমার ফোন পরীক্ষা করেছে ছেলেরা। অবশ্যই তুমি স্বাধীনতাবিরোধীদের লোক।’
আমি চিত্কার করে উঠি, ‘এসব সত্যি না, স্যার।’
‘তুমি আমাকে চ্যালেঞ্জ করো! আবার তোমার এত বড় সাহস, তুমি ফোন করো আমাকে!’
‘স্যার!’ আমি কেঁদে ফেলি এবার। ‘তাহলে কার কাছে যাব, স্যার?’
তিনি তিক্ত কণ্ঠে পাকিস্তানের নাম বলেন, সেখানে চলে যেতে বলেন। পাকিস্তানের সাথে আমার কী সম্পর্ক, কেন সেখানে যাব, কিছুই বুঝতে পারি না। বিস্মিত হয়ে বলি, ‘কই যাব, স্যার!’
‘পাকিস্তান! পেয়ারা পাকিস্তান!’ নাটুকে ভঙ্গিতে এটা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
আমি আবু বকর এই সময়ের বিব্রতকর কাহিনি।

Flap in Bengali
নিজকল্পা ইবনে বতুতার গ্রাম। এ গ্রামের কেউ মরছে না, কিছুই মরছে না। দুনিয়ার সকল গ্রাম ঘুরে ইবনে বতুতা ফিরে এসেছে নিজের গ্রাম নিজকল্পায়। সে প্রতিদিন আবিষ্কার করছে নিজ গ্রামকে। এ গ্রামের ঐতিহাসিক দিদার ফকির তাকে চেনাচ্ছে এ গ্রাম । এ গ্রাম পৃথিবীর প্রথম গ্রাম । এ গ্রাম চিনলে পৃথিবীর সকল গ্রাম চেনা যাবে, পৃথিবীর সকল মানুষ চেনা যাবে। চেনা যাবে পৃথিবীর সকল চিন্তা, স্বপ্ন, সৌন্দর্য, দর্শন , রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাসনীতি, প্রত্ননীতি - বলা ভালো সকলনীতি। এ গ্রামে কোনো মৃত্যু নাই। মানুষ মৃত্যুকে জয় করার জন্য যে কত সব প্যারালেল ওয়ার্ল্ড আবিষ্কার করেছে, ভ্রমণ আবিষ্কার করেছে, সে সকল ওয়ার্ল্ডের কথা, ভ্রমণের কথা আছে এই উপন্যাসে। মানুষ আবিষ্কার করেছে অমরতাকে তার নানা রূপ চিন্তা দিয়ে, স্বপ্ন দিয়ে, আবিষ্কার দিয়ে, ভ্রমণ দিয়ে । চিন্তা, স্বপ্ন, কল্পনার ভ্রমণের ঘোর লাগা এ উপন্যাস। ভ্রমণের এ ঘোর থেকে কে চায় বের হতে। উপন্যাসের প্রথম পাতা থেকে শেষ পাতা অবধি একজন পাঠক থাকবে সে ঘোরের ভেতর। উপন্যাস শেষ করে সে ভাববে সত্যিই সব কিছুই অমর। হয়তো এই প্রথমবার সে আবিষ্কার করবে সবকিছুর অমরতা। এ গ্রামে ভ্রমণ করলে ভ্রমন করা হবে পৃথিবীর সকল কাল - অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ । এ উপন্যাস কোনো কালের নয়, সব কালের; কোনো একক মানুষের নয়, সকল মানুষের। এ উপন্যাস পাঠে ভ্রমন করা হবে পৃথিবীর সকল চিন্তা, দর্শন, রাজনীতি , অর্থনীতি, মানুষ, প্রকৃতি, স্বপ্ন, দুঃস্বপ্ন, প্রেম, অপ্রেম। পুরো উপন্যাস পাঠ করার পর যদি কেউ বলে, সব কাল এক কাল, সব স্থান এক স্থান- তাকে ভুল প্রমাণ করার কেউ থাকবে না। তবে ভ্রমণে যাওয়া যেতে পারে এই অমর গ্রাম নিজকল্পায়, যা ইবনে বতুতার গ্রাম, আমাদের সবার গ্রাম।

Flap in Bengali
আমাদের ছোটমার কথা মনে হয়। বড়মার কথা মনে হয়। লাভলির কথা ভেবে আমরা উদাস হই। ছোটলুর কথা ভেবে আপনমনে হাসি। আর বাবার কথা ভেবে আমরা মন খারাপ করি। একটা-দুটো কথার পর আমরা তাই কথা বন্ধ রাখি।
ওদের মা কখনো গান করেননি কেন? মাকে ওদের মনে পড়ে না। শুধু চরাচর ভেঙে যখন জ্যোত্স্না নামে, তখন মায়ের শাড়ির আঁচলের গন্ধ পায় ওরা। টিনে ছাওয়া বাংলো ধরনের বাড়ি, বাড়ির সামনে বাগান, কাঁটামেহেদির বেড়া, কামিনী ফুলের পাগল-করা গন্ধ—এ-ই ছিল সত্তরের দশকের মফস্সল শহরগুলো। তেমনই এক শহরে দুই মায়ের সংসারে বড় হচ্ছিল চার ভাইবোন। চোরকাঁটাভরা মাঠে খেলা, বৃষ্টিতে তুমুল ভেজা শৈশব। টিউবওয়েলের নিচে গোসল, কয়লা দিয়ে দাঁত-মাজার শৈশব। কিন্তু ওদের মুক্তিযোদ্ধা বাবা সরকারি চাকরি হারান অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার না করার অপরাধে। কারাগারে যেতে হয় বাবাকে। বড় ভাই বাবুল সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন নিজের ভবিষ্যত্ বিসর্জন দিয়ে। কিন্তু এর চেয়েও ভয়াবহ সংবাদ দেন ছোটমা, হাসপাতালে শেষ শয্যায়। জানিয়ে যান, কেন মা কখনো গান করেননি। কে তাঁর কণ্ঠ থেকে গান নিংড়ে বের করে নিয়েছিল!

Flap in Bengali
সাংঘাতিক অসুখ আর ভাংগাতিক শরীর নিয়ে শ্রীদাম ভাবছিল, জলহারা নদী নদী নয়, বলহারা মানুষ মানুষ নয়। ভাবছিল, মানুষের দেহজ্যামিতি নষ্ট হলে, মানুষ আর মানুষ থাকে না।
আরতি ভাবছিল, কীভাবে কীভাবে আমি ঘরিণী থেকে হরিণী হয়ে গেলাম! কীভাবে কীভাবে আমি ঘরগোশ থেকে খরগোশ হয়ে গেলাম!
মাধবী নতুন বর্ণমালা আবিষ্কার করেছে। মাধবী ভাবছে সে, বিশ্বরূপ দেখে ফেলেছে; বিশ্বের বিষ্যরূপ দেখে ফেলেছে, বিশ্বের নিঃস্ব-রূপ দেখে ফেলেছে। বিশ্বের শস্যরূপ দেখতে পায়নি।
শ্রীদামের দেহজ্যামিতি; আরতির ঘরগোশ থেকে খরগোশ হওয়া; মাধবীর নতুন বর্ণমালা আর তার দেখা বিশ্বরূপ দেখার জন্য 'কালকাঠুরে' উপন্যাসের ভেতর আসুন ঢুকে পড়ি।

Flap in Bengali
সেদিন শরৎ হেমন্তের সন্ধিক্ষনে নির্জন নিশীথে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় বিলের পদ্মের সঙ্গে ঘটে পূর্ণিমার চন্দ্রের প্রথম সাক্ষাৎ। হঠাৎ স্বচ্ছ জলে প্রতিবিম্বিত হয় কারো আবছায়া। কখনো তা বিশদ আভায় মোহময় করে তোলে চারপাশ — কখনো ঘোর অমাবস্যায় ছেয়ে যায় সমস্ত আকাশ!
আলোছাঁয়ার ঘোলাটে জাহানে বসবাস করা কৃষ্ণবর্ণের ঐন্দ্রজালিক চন্দ্রের জীবনে নির্মল, সুরূপা পদ্মর আকষ্মিক পদার্পণ কী পারবে অমানিশার সাথে সাথে চন্দ্রের অবশিষ্ট কলঙ্কও মুছে দিতে? নাকি সে অনুরাগের বাঁধনে শুকতারা হয়ে কলঙ্কিত চন্দ্রের কাছাকাছি থেকে যাবে আজন্ম!
~কুহু চৌধুরী

Flap in Bengali
চেনা মানুষ ও জনপদ অচেনা হয়ে ওঠে। পরিচিত বাস্তব ভেঙে নির্মিত হয় পরাবাস্তব এবং জাদুবাস্তব জগৎ । সেখানে প্রকৃতি আর মানুষ, বস্তু এবং সজীব প্রাণ একাকার। ফলে গল্প বলবার ঢং সম্পূর্ণ বদলে গেছে। একদিকে ভাষার নন্দন, অন্যদিকে শিল্পকলার বিভিন্ন প্রণালি এসব গল্পে খেলা করে। কখনো সংগীতময়তা, কখনো চিত্রকলা । কখনো রঙের বিন্যাস, কখনো মনোজগতের সূক্ষ্ম অনুভূতি। বদলে গেছে প্রবহমান সময়ের ধারণা। কাল সেখানে নিরন্তর আবর্তিত। এভাবেই এই বইয়ের গল্পগুলোর বুনন। খুব সহজ নয় এমন গল্পের অনুরাগী হয়ে ওঠা। সেজন্য পাঠকের দরকার হবে প্রস্তুতি ।
বইয়ের মাঝখানে একটি পৃষ্ঠা। একটি নিঃসঙ্গ শব্দ সেখানে । ট্রাভেলগ। তারপর দুটো গল্প। তাতে গল্পের ভ্রমণ যেন অনিঃশেষ । তবে কেবল নন্দন বা সৌন্দর্য সৃষ্টিই নয়। পাঁচটি গল্পে ভেঙে পড়া সমাজ ও মানুষ নিসর্গের মতোই পারস্পরিক। সমস্ত ভাঙন আর দরগলমান রক্ত রুখে দেওয়া দুঃসাহসিক প্রকৃতি হাত ধরাধরি করে চলে। হারিয়ে যাওয়া ভোর আর মৃত বৃক্ষ এসব গল্পে কথা বলে অস্ফুটে। শুকনো পাতাও সেখানে যেন প্রাণস্পন্দময়।
সবকিছু ছাপিয়ে গল্পের ভাষা। যেন জাদু। যেন ছুঁয়ে যাবে নৈর্ব্যক্তিক শরীর। অন্তর্গত রক্তের ভিতরে জলের মতো ঘুরে ঘুরে খেলা করে । এই তবে। আসুন । ভ্রমণ করা যাক এইসব গল্পের ভুবনে । গোলাপ ও গ্রামের স্মরণে। বিহঙ্গ ও বিকেলের নামে। সোনালি খড় ও ছেঁড়া কাগজের স্মৃতি উন্মোচনে ।

Flap in Bengali
প্রণয়গন্ধি হাওয়ায় মাটিগন্ধিপরাণ। পরাণের গহীণে আছে পরাণ; আর মাটির পরতে-পরতে লুকানো রয়েছে যাপিত জীবনের ফসিলসমূহ। ফসলের সম্ভারে পূর্ণতার ডালি সাজাতে কেউ কেউ অন্তরিক্ষচারী। চারদিকে ভাঙনের পদধ্বনী। রাতের স্বপ্ন দিনের আলোয় ভেঙে টুকরো হয়ে যায়। তবুও বিস্তর পথ হেঁটে জীবনের তরে পান্ডুলিপি করে আয়োজন। তুলসীপাতার ঐশী ঘ্রাণে বিমোহিত প্রাণিকুল। অথচ পালছেঁড়া নৌকো এবঙ হালভাঙা নাবিকের দুঃখ-যাতনা বোঝে না, কেউ বোঝে না।

Flap in Bengali
প্রথম গল্পগ্রন্থ মৌতাত শেষ হয়ে গিয়েছিল ২০২২ মেলায়ই। পাঠকের এই সহজ এবং গভীর গ্রহণ আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে ছোট গল্প রচনায়। নাচের শহর রূপেশ্বরী গল্পগ্রন্থে মোট গল্প আছে এগারোটি। গল্পগুলোর আত্মায় যেমন আছে- গভীর ভালোবাসা, মানবতা, সহমর্মিতা এবং সর্বোপরি মানব প্রেম এবং বিশ্বচরাচরের প্রেম, তেমনি এর শরীর জুড়ে রয়েছে বর্ণবাদ, ডমিস্টিক ভায়োলেন্স, পুঁজিবাদ, খুন, হিংসা, প্রতিহিংসা। তবে অধিকাংশ গল্পেই সময় এবং জীবনের চিত্রকল্প আঁকতে প্রয়োগ করেছি সমাজ বাস্তবতা, যাদুবাস্তবতা, পরাবাস্তবতা এবং কল্পবাস্তবতা। তেমনি ভাষায় নিজস্বতা প্রতিষ্ঠিত করতে চালিয়েছি ব্যপক নিরীক্ষা। আমার সুপ্রিয় ঋদ্ধ পাঠকের প্রজ্ঞা এবং বিচারের ওপর আস্থা আছে পুরোপুরি। যিনি বইটি হাতে নিয়ে পড়ছেন তাকে প্রগাঢ় ভালোবাসা।

Flap in Bengali
সায়ংসন্ধ্যা শেষে তুলসীতলায় নামে
সারবন্দী নীরবতা, নিবিড় কুহক
মাটির ঘরের দীপে কাঁপা কাঁপা মুখ
স্পর্শের অপেক্ষা নিয়ে ফুটে আছে
অধীর প্রসূন
দূরের দিঘির দিক থেকে
সারারাত ভেজা হাওয়া আসে

Flap in Bengali
ফুলের চাতুর্যে পিরিতি নিজেই কলঙ্কিনী হৈলো যদি, কলঙ্কের চুন ও কালি ধুইতে কই যাও প্রেমের মানুষ? যমুনায় বুঝি!
বলিহারি যমুনার জলও৷ কৃষ্ণের পদধূলি লৈয়া বাজাও ছলনার ছেষট্টি কলা আর রাধা আসিলে অঙ্গের শাড়িতে ছেঁটাও বশীকরণ মন্ত্র!
মন্ত্র ফোটে অঙ্গে অঙ্গে—শাড়িতে চুড়িতে সিঁদুরে শাঁখায়, কথায়, হাসিতে—ক্রন্দনে, মন্থনে।
আবহমানের—এইসব প্রেম ও পিরিতি, আর তার তন্ত্র-মন্ত্রগন, বাদ্যে-বাজনায়, ছন্দে, সুর ও সঙ্গীতে অপূর্ব বটে; চিরকালীন এবঙ স্বর্গীয়! কৃষ্ণের বাঁশি আর বাৎসায়নের কলাপ্রকৌশল এক হৈলো যদি, বৃন্দাবনে তাণ্ডব তো মুহূর্তের ঘটনা।
এইসব নিগূঢ় মন্ত্র জানিতেন পিতা, জানিতেন পিতামহ ও পিতামহের পূর্বসূরীগন। তারই কিছু উত্তরাধিকার...
অতএব, হে মহান ও মান্যবর—পূর্বপুরুষের পৃথিবী হৈতে প্রবাহমান সেই প্রেম ও প্রেমঘটিত সুরের বয়ান এই "বশীকরণ মন্ত্র"। পুঁথিশাস্ত্রের আদলে গীতে-সঙ্গীতে যা কিছু বয়ান করা হৈলো, তার সবটা জুড়েই শুধু প্রেম, প্রেম, এবং প্রেম।
শুনিয়াছি, আরশের মালিকও নাকি একমাত্র প্রেমেই বশ হৈয়া থাকেন!
মোহাম্মদ জসিম
বরিশাল

Flap in Bengali
পথের মতো পথ গিয়েছে চলে,
বাড়ি ফেরায় রাত্রি শুধু নামে।
হাতঘড়িটায় অবাধ্য এক তাড়া,
পুরান চিঠি লিখছি নতুন খামে-

Glimpse in Bengali
মীর মশাররফ হোসেনের রচনা নিয়ে তাঁর জীবৎকালে যেসব আলোচনা প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর মূল সুর অনেকটাই এক। কি না, কোনো মুসলমান যে এমন সুন্দর বাংলা লিখতে জানেন, মীরের গ্রন্থ পাঠের আগে বাংলার হিন্দু তো বটেই, মুসলমান শিক্ষিত সমাজও নাকি একথা ভাবতেই পারেননি।
কাজেই বোঝা মুশকিল যে এইসব আলোচনা কি ব্যক্তি মীর মশাররফের প্রশংসার ছলে তার ধর্মীয় গোষ্ঠীর সমালোচনা, নাকি তাদের সীমাবদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দেওয়া। কারণ যেটাই হোক, ঘুরেফিরে একই ধরনের কথা উচ্চারিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকা এবং সাময়িকীতে। কেউ বলেছেন- 'মুসলমানদিগের গ্রন্থ এরূপ বিশুদ্ধ বঙ্গভাষায় অল্পই অনুবাদিত ও প্রকাশিত হয়েছে।'

Glimpse in Bengali
রাজনীতি হলো এমন বিশেষ কিছু নিয়ম-নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে বৈরিতার অবসান এবং পরস্পরবিরোধী স্বার্থ ও মূল্যবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে সম্মিলিত স্বার্থে সমঝোতার দ্বার উন্মোচিত হয়। বস্তুত রাজনীতির লক্ষ্য হলো বিশেষ পদ্ধতি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ব্যবহার করে আলাপ-আলোচনা, সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে আদর্শের ভিন্নতা, মতপ্রার্থক্য ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব নিরসন এবং ‘পাবলিক পলিসি’ বা নীতি-কাঠামো প্রণয়ন। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, বিশেষত ক্ষমতাধর প্রতিপক্ষের মধ্যে একধরনের ‘রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার ফলে সকলের, অন্তত বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সুরক্ষিত হয়।
দুর্ভাগ্যবশত, স্বাধীনতা-পরবর্তীকাল থেকেই বাংলাদেশে রাজনীতি নিতান্তই একটি ‘কন্টাক্ট স্পোর্টসে’ বা দ্বন্দ্বাত্মক প্রতিযোগিতায় এবং অনেক ক্ষেত্রে ‘ব্লাড স্পোর্টে’ পরিণত হয়েছে। যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ব্যবহার করে আলাপ-আলোচনা, সংলাপ ও কম্প্রোমাইজ বা ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এবং সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে রাজনৈতিক শক্তিগুলো রাজপথে শক্তি প্রদর্শনে এবং দ্বন্দ্ব-হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছে। মস্তিষ্ক ও কৌশলনির্ভর ভদ্র মানুষের কর্মকাণ্ডের পরিবর্তে আমাদের রাজনীতি এখন অর্থ ও পেশির মালিকদের করায়ত্ত হয়ে পড়েছে, যাদের কাছে নিয়ম-নীতি, পদ্ধতি ও প্রতিষ্ঠান কোনো গুরুত্বই বহন করে না। বস্তুত রাজনীতি এখন নিতান্তই একধরনের ‘খেলায়’- পেশিশক্তি নির্ভর হয়েছে। এমনই একটি অসহনশীল, আইন-কানুনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল, উচ্ছৃঙ্খল এবং অর্থ ও পেশিশক্তি নির্ভর রাজনৈতিক সংস্কৃতি - বস্তুত অপসংস্কৃতি- বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য এক অশনিসংকেত। বর্তমান গ্রন্থে সন্নিবেশিত লেখনীগুলোতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংকটের এমন বিষয়াদিই আলোচিত হয়েছে।

About the Book in Bengali
এই বইয়ে লেখক অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও স্বরবৃত্ত: এই তিন নিরূপিত ছন্দের প্রয়োজনীয়তা, উপকরণ, পরিচয়, প্রয়োগকৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। একইসঙ্গে আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান কয়েকজন কুশীলবের কবিতায় অক্ষরবৃত্ত-মাত্রাবৃত্ত-স্বরবৃত্তের প্রয়োগ কিভাবে ঘটেছে, কোন কবি কোন ছন্দে কেমন চর্চা করেছেন, রয়েছে তার বিশ্লেষণ। যাঁরা লেখকের সাধারণ প্রবন্ধ, সমালোচনামূলক-বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধ ও গবেষণামূলক রচনা ইতোপূর্বে পড়েছেন, তাঁরা তাঁর ভাষাশৈলী, বিষয়-বিশ্লেষণের কৌশল ও বিচার-বিবেচনা সম্পর্কে জানেন। তাঁদের উদ্দেশে একটি কথা, এই বই বিষয়ে-বিশ্লেষণে-প্রকরণের আগের যে-কোনো বই থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। পরন্তু অ্যাকাডেমিকও। আশা করি, বইটি পুরনো ও নতুন পাঠকসহ গবেষক, সমালোচকদের ভালো লাগবে। পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যের বিশেষত কবিতার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ছন্দনির্ণয়, বিশ্লেষণে বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠবে।

About the Book in Bengali
মন ও মস্তিষ্ক। অনুভবের জগতে ভালো থাকার উপায় নিয়ে অপূর্ব চৌধুরীর একাদশ গ্রন্থ। চিকিৎসক এবং প্রাবন্ধিক ডা. চৌধুরী মস্তিষ্ক এবং মনের এক জটিল সমন্বয়ের গভীরে খুঁজেছেন দৈনন্দিন বিভিন্ন অনুভবের ভালো-মন্দ। মন, মস্তিষ্ক, সম্পর্ক, মিডিয়া এবং দর্শন, এই পাঁচটি পরিচ্ছেদে বাইশটি বিষয়ে ব্যবচ্ছেদ করেছেন জীবনের বিভিন্ন অনুষঙ্গ। মস্তিষ্ক যেখানে কম্পিউটারের মতো এক জটিল যন্ত্র, মন সেখানে আবির্ভূত হয় আমাদের বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি এবং চেতনাকে বহনকারী এক সফটওয়্যার হিসেবে। উভয়ের সহ-অবস্থান এবং একটি সিমবায়োটিক সম্পর্ক জীবন এবং বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধিকে ধীরে ধীরে গঠন করে।
বইটি পড়লে আধুনিক জীবনের বিভিন্ন জটিলতা থেকে শুরু করে মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ গভীরভাবে উন্মোচিত হয়ে উঠবে আমাদের সামনে। বইটিতে আবিষ্কার করবেন, কীভাবে হাসি আপনাকে ভালো রাখে, এক টুকরো হাসির বিকিরণ কী করে আপনার শরীর-মনে ছড়িয়ে পড়ে, বিপরীত লিঙ্গের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্ন বিষয়ের রহস্য উন্মোচন হবে আপনার সামনে, শিশুদের নিষ্পাপ মনের মধ্যে পাওয়া পর্যবেক্ষণকে জানতে পারবেন ক্রমশ। আমাদের শরীর-মনে মিডিয়ার ব্যাপক প্রভাব, সুগন্ধের মনস্তাত্ত্বিক মোহন, সামাজিক বিভিন্ন সম্পর্কের মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য, এমনসব আকর্ষণীয় বিষয়গুলোর সঙ্গে আমাদের মন ও মস্তিষ্কের সম্পর্ককে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।