In 2024, Bengali poetry has emerged as a vibrant and dynamic force, captivating readers with its rich emotional depth and lyrical beauty. This year’s bestsellers illustrate the diverse voices that populate the contemporary landscape of Bengali verse, showcasing a blend of traditional themes and modern concerns. As poets grapple with complex subjects such as love, identity, social justice, and existential musings, their words resonate with an authenticity that speaks to both the heart and mind.
The popularity of these poetic collections can be attributed to their ability to transcend cultural and generational boundaries. Readers are drawn to the intimate exploration of personal and collective experiences, reflecting the multifaceted nature of life in Bengal. Themes of nostalgia and longing are prevalent, often intertwined with contemporary issues that challenge societal norms and prompt reflection. The poems serve as a mirror, inviting readers to engage with their own emotions and experiences.
Moreover, the innovative use of language and form has revitalized Bengali poetry, making it accessible to a broader audience. Poets are experimenting with structure, rhythm, and imagery, blending the classical with the contemporary. This evolution in style not only honors the rich literary heritage of Bengali literature but also pushes boundaries, allowing for new expressions of thought and feeling.
In a world increasingly dominated by fleeting digital content, these poetic works offer a sanctuary for contemplation and connection. They remind us of the enduring power of language to convey complex emotions and ideas. Each bestseller serves as a testament to the artistry of its creator, revealing the profound impact poetry can have on individual lives and society as a whole.
As we explore the top ten bestselling Bengali poem books of 2024, we celebrate the voices that continue to enrich the literary landscape. These collections not only reflect the zeitgeist of our times but also inspire future generations to embrace the transformative power of poetry. Through their verses, we are reminded of our shared humanity and the beauty that lies within the written word.

পাঠকের একটি প্রশ্ন আমি অসংখ্যবার শুনেছি। প্রশ্নটা হলো, ‘আমি কখন লেখি?’
দিনের কোন ভাগে? রাতের কোন ভাগে? এই প্রশ্নের উত্তর অনেক খুঁজেছি। খুঁজে উত্তর যা পেলাম, তা হলো- আমি আসলে দিনরাতের কোনো ভাগেই আলাদা সময় নির্দিষ্ট করে লেখিনা। আমি লেখি মূলত প্রবল মন খারাপ বা মন ভালো থাকলে। অর্থাৎ আমার চারপাশের কোনো ঘটনা যখন আমাকে প্রবলভাবে আন্দোলিত করে, উদ্দীপ্ত করে, তখন। আমি যেহেতু প্রচুর লেখি, তার মানে কী এই যে সারাক্ষণই আমার মন ‘প্রবল’ খারাপ কিংবা ভালো থাকে! আর এ কারণেই আমি যখন তখন লিখতেই থাকি?
কথা সত্য। মানুষ হিসেবে আমি প্রচন্ড সংবেদনশীল। ফলে আপাতদৃষ্টিতে ‘উপেক্ষা-যোগ্য’, এমন অনেক ছোটখাট বিষয়েও আমি বিচলিত হই। উপেক্ষা করতে পারি না। হয়তো এ কারণেই সারাক্ষণ সেই অনুভবগুলোকে আমি প্রকাশ করতে চাই।
আজকাল মোবাইল ফোনের কল্যাণে সুবিধা হয়েছে। যেখানে সেখানে যখন তখন লিখে ফেলা যায়। সেই লেখা ফেসবুকের পাতায় রোজ রোজ প্রকাশও করা যায়। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, আমার এমন অনেক লেখাই পাঠক তুমুল আগ্রহ নিয়ে পড়েন। তারা তাদের নিজেদের মতো সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন। ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ কারণে যেটি হয়, লেখাগুলো কোথাও একত্রে সংরক্ষিত থাকে না। বিচ্ছিন্নভাবে নানা নামে, নানা পরিচয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। হঠাৎ করেই একদিন আমার মনে হলো, সেই লেখাগুলোকে একত্রে সংরক্ষিত করে রাখা দরকার।
সেই ইচ্ছে থেকেই ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে লেখা আমার পংক্তিমালার এই চতুর্থ সংকলন। বিচ্ছিন্নভাবে লেখা পংক্তিগুলোকে মলাটবদ্ধ করতে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য অসুবিধা হয়েছে। ফলে কোথাও কোথাও দুয়েকটি লেখার পুনরাবৃত্তিও থাকতে পারে। আশা করি সেটি পাঠককে ভালো লাগার অনুভ‚তিই দিবে। কারণ এই পংক্তিগুলোকে আমি বলি অনুভ‚তির আঁখরে লেখা শব্দ ও নৈঃশব্দ্যের গল্প।
সেই গল্প ছুঁয়ে যাক মন ও মানুষ।

জন্মেছি — জন্মাতে হয়েছে তাই। নাহলে মা-বাবা রাগ করতো।br কথা বলি — কথা বলতে হয় তাই। না হলে কাছে-পিঠের মানুষসহ নিজ মন কষ্ট পেত। মা তো কেঁদেই দিতো।br পড়াশোনা করি — পড়াশোনা করতে হয় তাই। না হলে তো সমাজ, দেশ, পৃথিবীসহ সবাই আমায় কবেই নষ্ট বলতো।br বড় হয়েছি — বড় হতে হয় তাই। নাহলে তো লোকে আমায় বামুন বলতো।বিয়ে করেছি — বিয়ে করতে হয় তাই। নাহলে তো লোকে আমায় নামধারী ওটা বলতো। জন্ম থেকে শুরু করে সবকিছুই অন্যের জন্য। কেবল ক্ষুদা নিজের জন্য। ক্ষুদা না লাগলে আমি তো কবে মরেই যেতাম।

"যে জলে আগুন জ্বলে" বইয়ের সূচিপত্র
* অস্ত্র সমর্পণ
* বেদনা বোনের মতো
* ইচ্ছে ছিলো
* প্রতিমা
* অন্যরকম সংসার
* নিখুঁত স্ট্র্যাটেজি
* আমার সকল আয়োজন
* হিরণবালা
* দুঃখের আরেক নাম
* প্রত্যাবর্তন
* তীর্থ
* অনির্ণীত নারী
* অশ্লীল সভ্যতা
* কবিতার কসম খেলাম
* পরানের পাখি
* বাম হাত তোমাকে দিলাম
* উপসংহার
* শামুক
* আমার কী এসে যাবে
* ইদানীং জীবন যাপন
* পৃথক পাহাড়
* অহংকার
* কোমল কংক্রিট
* নাম ভূমিকায়
* সম্প্রদান
* একটি পতাকা পেলে
* মানবানল
* যার যেখানে জায়গা
* কবি ও কবিতা
* ফেরীঅলা
* উৎসর্গ
* অগ্ন্যুৎসব
* যেভাবে সে এলো
* রাডার
* যাতায়াত
* যুগল জীবনী
* লাবণ্যের লতা
* তোমাকেই চাই
* ভূমিহীন কৃষকের গান
* কবুতর
* নেত্রকোনা
* তুমি ডাক দিলে
* হিজলতলীর সুখ
* রাখাল
* ব্যবধান
* কে
* অমীমাংসিত সন্ধি
* ক্যাকটাস
* তৃষ্ণা
* হৃদয়ের ঋণ
* রস্থান
* ঘরোয়া রাজনীতি
* ডাকাত

নিকটবর্তী ব্যবধান!
একজন ভীত মানুষ আত্মহত্যা করার জন্য সাহস সঞ্চয় করছেন। এই কাজটি তিনি করছেন মেডিটেশনের মধ্য দিয়ে। তার শরীর এখানে থাকলেও আদতে তিনি আছেন, প্রশান্ত মহাসাগরে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া একটি জাহাজের কেবিনে।
ঘরে অন্য একজন আছে। গলায় খুশখুশে ভাব আর ফাঙ্গাস জমে আছে। মেডিটেশনের ব্যাঘাত ঘটিয়ে গড়গড়া করছেন।
পাশের ঘরে দুটা সিঙ্গেল বেড আড়াআড়ি করে রাখা। একজন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে। পলকহীন সরু চোখে ক্লান্তির ছাপ। সময় যদি জানা হয়ে থাকে তাহলে সেটার দিকে দীর্ঘসময় তাকিয়ে থাকা কেন? অন্যজন গায়ে সুগন্ধি মেখে ফিরেছে ক্লাব থেকে।
ঠিক এমন সময় কান্নার শব্দে তারা প্রত্যেকে দরজা খুলে বের হয়। বিচ্ছিরি রকমের গালাগালের শব্দ দক্ষিণে দরজার ছিদ্র দিয়ে ভেসে আসছে। বোধহয় স্বামী স্ত্রী হবে। তারা দুজন একই সাথে চিৎকার করায়, যে লোকটি আত্মহত্যা করার জন্য সাহস সঞ্চয় করছিল, তিনি খুব ভয় পেয়ে যান। তার কাছে মনে হতে থাকে, দুটা হার্মিট থ্রুস পাখি মানুষের মতো করে গান গাইছে।

‘অ' থিকা শুরু কইরা স্বরবর্ণের সবাইরে কইলাম, ‘শান্টিং ছাড়া সংযােগ নিষিদ্ধ’, ‘চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষােলাে’, ‘বাইজিবাড়ি রােড’, ‘ছােট্ট কোথায় টেনিসবল'—২০০০, ২০০১, ২০০২, ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত আমার ৪টা বই থিকা ৫ ফর্মার একটা বইর জন্য কবিতা বাইছা দিতে—কেউ রাজি হইলাে না। ...পরে গেলাম ব্যাঞ্জনবর্ণদের কাছে, ‘ক’ রাজি হইলাে না, ‘খ’-ও; ‘গ’ কইলাে, ‘দিতে পারি, ডেডলাইন দেয়া যাবে না, একদিনেও কইরা দিতে পারি, আবার একসপ্তাহেও হইতে পারে, একমাসের কমবেশিও লাগাইতে পারি। আমি মহা-আনন্দে “ঠিক আছে’ কইয়া বই ৪টা দিয়া হাওয়া হইয়া থাকলাম। ...‘গ’ একমাসই লাগাইলাে। এইভাবেই হইল গ-নির্বাচিত কবিতার বই ‘দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর। যারা লেখাগুলা বা কোনাে-কোনাে লেখা নানানভাবে আগে পড়ছেন, কিন্তু মনে আছে/মনে নাই—তাদের জন্য নির্বাচিত হিসাবে বইটা নতুন, আর যারা কোনােদিনও পড়েন নাই, তাদের জন্যতাে নতুনই। আমার জন্য চিরনতুন।

“গৃহত্যাগী জোছনা” বইটির প্রথম দিকের কিছু কথাঃ
প্রতি পূর্ণিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই
গৃহত্যাগী হবার মত জোছনা কি উঠেছে ?
বালিকা ভুলানাে জোছনা নয়।
যে জোছনায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে ছুটাছুটি করতে করতে বলবে – ও মাগাে, কি সুন্দর চাঁদ !
নবদম্পতির জোছনাও নয়।
যে জোছনা দেখে স্বামী গাঢ় স্বরে স্ত্রীকে বলবেন –
দেখাে দেখাে নীতু চাঁদটা তােমার মুখের মতই সুন্দর
কাজলা দিদির সঁাতাতে জোছনা নয়।
যে জোছনা বাসি স্মৃতিপূর্ণ ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে
কবির জোছনা নয়। যে জোছনা দেখে কবি বলবেন –
কি আশ্চর্য রূপার থালার মত চাদ।
আমি সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী জোছনার জন্যে বসে আছি।
যে জোছনা দেখামাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যাবে –
ঘরের ভেতর ঢুকে পড়বে বিস্তৃত প্রান্তর।
প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব আর হাঁটব –
পূর্ণিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে।
চারদিক থেকে বিবিধ কণ্ঠ ডাকবে – আয় আয় আয় ।

অবশেষে প্রকাশ পেলো প্রবর রিপনের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘গোধূলী ক্যাবারে’।
সূর্যটা মানুষের কাঁধের উপর ঘুরে ঘুরে অবশেষে চলে এসেছে এই গোধূলীবেলায়, ডুবে যাবে এক্ষুণি।
আর সূর্যাস্তের আগন্তুক অন্ধকারে মেতে উঠেছে এক ভোগের ক্যাবারে, যারা সূর্যকে শবের মত কাঁধে তুলে এনেছে এই ধ্বংস শেষের ক্যাবারেতে। যেখানে মৃতরা নাচ দেখায় ধ্বংসকারী শয়তানদের, যাদের আঙ্গুলের ইশারায় নির্ধারিত হয় পৃথিবীর ভাগ্যরেখা। কি নিদারুণ লোভে আমরা পৃথিবীকে টেনে এনেছি শেষপ্রান্তে, কি নিদারুণ পরিহাস! গুটিকয়েক মানুষের ভোগের বেসাতিতে কিভাবে মরতে বসেছে এই তুমুল নীল পৃথিবী!
সেইসব হন্তারকদের মুখ উন্মোচনের ৫৪টি কবিতার সংকলন এই কাব্যগ্রন্থ ‘গোধূলী ক্যাবারে’

"অগ্নিবীণা" বইটির সূচিপত্রঃ
সূচিপত্রঃ
প্রলয়ােল্লাস................ সাত
বিদ্রোহী......................এগারাে
রক্তাম্বর-ধারিণী মা.......আঠার
আগমনী.....................বিশ
ধূমকেতু......................ছাব্বিশ
কামাল পাশা...............বত্রিশ
আনােয়ার....................চুয়াল্লিশ
রণ-ভেরী.....................ঊনপঞ্চাশ
শাহ্-ইল-আরব.............তিপ্পান্ন
খেয়াপারের তরণী........পঞ্চান্ন
কোরবানী....................সাতান্ন
মহরম.........................একষট্টি

বর্তমান সময়ে কবিতার প্রতি মানুষের এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে। কবিতা বলতে মানুষ ভাবে; গুরুগম্ভীর শব্দ, দুর্বোধ্য কল্পচিত্র আর দূরবর্তী উপমার ব্যবহার। যার ফলে মানুষ এখন আর কবিতা পড়তে চায় না। কবিতার বই সংগ্রহ করতে আগ্রহ দেখায় না। কবিতার প্রতি যখন মানুষের এমন অনিহা ঠিক তখন সেই গুরুগম্ভীর আর দুর্বোধ্যতা থেকে বেরিয়ে এসে সহজ সাবলীল এক নতুন কবিতার ধারা তৈরি করেছেন কবি সালমান হাবীব।
সালমান হাবীব মূলত একজন কবিতায় গল্প বলা মানুষ। তার প্রতিটি লেখায় কোনো না কোনো চিত্রকল্প ফুটে ওঠে। যাপিত জীবনের হাসি-কান্না বিরহ-বেদনা ছাড়াও তৈরি করেছেন ইসলামী কবিতার এক নতুন ধারা। আশা করছি তিনি তার লিখনির মাধ্যমে সৃষ্টি থেকে স্রষ্টা সবখানেই সমাদৃত হবেন। ইতিপূর্বে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ; 'অতটা দূরে নয় আকাশ' এবং 'ভালোবাসি একটি কবিতার নাম' 'বিরামচিহ্ন' 'আপনি আমার দুঃখ শব্দের বিসর্গ' 'বিষাদের ধারাপাত' 'আল্লাহকে ভালোবাসি' 'মন খারাপের মন ভালো নেই'। এবার প্রকাশিত হতে যাচ্ছে "আমায় তুমি ফিরিয়ে নিও ফুরিয়ে যাবার আগে"।

"কালো কৌতুক" বইটির কবিতাক্রমঃ
উন্মাদ ০৯ ৩৩ চিঠি
ঈদ ১০ ৩৪ চোখ
অসার্থকতা ১১ ৩৫ গাছের কথা বলি
হারুন ১২ ৩৬ দোলনা
কালাে কৌতুক ১৫ ৩৭ খেলনা
কান্নার কাসিদা ১৬ ৪২ এলিজি
বন্ধু কী খবর ১৭ ৪৩ বাজার
দুনিয়া ১৮ ৪৪ সফলতা
জীবনের প্রকার ১৯ ৪৫ আত্মজীবনী
একদিন ২০ ৪৭ বাবা দিবসে
সমুদ্র ২১ ৪৮ আমেরিকা
শখ ২২ ৫০ খোঁজ
গােলাপ ২৩ ৫১ রুচি
স্বপ্ন ২৪ ৫২ সব কবি মরে যাবে
ইনসমনিয়া ২৫ ৫৩ সুখী আর অসুখী
লাইভ ২৬ ৫৪ সম্পর্ক
দহন ৩২ ৫৫ শূন্যস্থান