Bengali short story anthologies have flourished in 2024, providing readers with a diverse range of stories that explore different aspects of society and human experience. These anthologies highlight the richness and diversity of Bengali literature while encapsulating the social and cultural climate of the area.
These collections' ability to combine the old and the modern is one of their most distinctive features. The stories are in a variety of genres, including speculative fiction, mystery, and adventure as well as social realism. In addition to offering readers amusement, they also offer profound, thought-provoking insights regarding society conventions, human nature, and the difficulties of contemporary living.
Collections that speak to issues of identity, familial ties, and personal hardships can be found on the 2024 bestseller lists. These narratives frequently examine the relationship that exists between the community and the individual, delving into the intersections between social norms and individual choices. The narratives are incredibly detailed, with vivid descriptions that give readers a sense of immersion in the locales and characters.
Many of these collections also honor Bengal's rich literary past, taking cues from traditional storytelling customs and combining them with contemporary views. A dynamic reading experience is produced by this blending of the ancient and the new, where classic subjects are seen through modern prisms. The stories become more authentic and nuanced when regional accents, cultural allusions, and indigenous storytelling methods are incorporated.
The emphasis on social themes in these volumes is another important feature. The stories don't hold back when discussing difficult subjects like gender dynamics, economic inequality, and the effects of past occurrences. The books provide readers a complex picture of the struggles and victories faced by people in various social strata by including these topics into their stories.
The collections also demonstrate the effectiveness of storytelling in maintaining and promoting cultural values. They are relatable to a broad audience because they provide a window into the varied lives and experiences of people in Bengal through captivating narratives and well-developed characters.
In summary, the best collections of Bengali short stories for 2024 are distinguished by their thought-provoking stories, depth of culture, and capacity for introspection. They stand as evidence of the storytelling's timeless ability to portray the complexity of life in a changing environment and to capture the human experience.

সময় তখন রাত বারোটার কাছাকাছি। সারাদিন ধরে ৭৫০ বস্তা ত্রাণ বিতরণ করে, দিরাইয়ে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে ফিরছি। দিন শেষে ক্লান্ত হয়ে ত্রাণের বস্তায় হেলান দিয়ে ঝিমাচ্ছিলাম, কখন যে চোখ লেগে গিয়েছিল খেয়াল নেই। হঠাৎ প্রিয়ত আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বললো যে, আমাদের পেছনে ডাকাত তাড়া করছে। আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। প্রচণ্ড বুক কাঁপছে আমার। ডানে-বামে তাকিয়ে দেখি চারপাশটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। মাঝিকে ডেকে বললাম যে মামা পেছনে টর্চ জ্বালান। টর্চের আলোয় দেখলাম মাঝবয়সী অনেকগুলো লোক ট্রলারের মধ্যে বাঁশ, ধারালো দা হাতে দাঁড়িয়ে আছে। আমার বুঝতে বাকি রইলো না ট্রলারগুলো যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে বড়জোড় আর দশ মিনিট সময় লাগবে আমাদের ট্রলারটা ধরতে। আমি সেনাবাহিনীকে অনবরত ফোন করতে থাকলাম কিন্তু কোন নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না। হঠাৎ মাঝি আমাদের ডেকে বললো, আপনেরা একটা পলিথিনের মধ্যে আপনেগো মোবাইল আর টাকা-পয়সা একসাথে কইরা রাইখা দেন; নাইলে আইজ আর কেউ বাঁইচা ফিরতে পারবেন না!

একজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজতে গিয়ে অন্য একজন নিখোঁজ হলেন। দুজনের কেউই জানে না, তারা হারিয়ে গেছে। এ রকম একটি গল্প বলার চেষ্টা করেছি। মাঝে মধ্যে দুজনকে একই মানুষ মনে হবে। মাঝেমধ্যে মনে হবে, ওরা আসলে দুজন না। ওরা তিনজন।
মনস্তাত্ত্বিক বিভ্রমের নানান স্তরের কর্মকান্ড থেকে এক একটি চরিত্র ধার করা হয়েছে। একটা মানুষ যখন তার কল্পনাকে সত্য মনে করে তখন তার চিন্তা করার সিস্টেমগুলো কেমন করে কাজ করে? কিংবা সমস্যা যখন আরও জটিল হয়? সত্যকে তিনি কল্পনা মনে করছেন!! চারপাশের সবকিছু অ্যাবস্ট্রাক্ট ছবির মতো-অর্ধেক বস্তু অর্ধেক কল্পনা।
কিংবা কোনো একটি গল্পের চরিত্র জীবিত একজন মানুষকে মৃত মনে করছে। যাকে তার মৃত মনে হয়, তাকে ব্যাপারটা জানানো হয়েছে। তারা দুজন মিলে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে গেলে সবকিছু উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে। ভোরবেলায় যে রকম রাত আর দিনের মধ্যে সাক্ষাৎ ঘটে, সে রকম সম্বন্ধ হয় ডিলিউশন আর হ্যালুসিনেশনের মাঝে। যেন ইথারে মিলিয়ে যায় বস্তুগত সূর্য, ভাবগত প্রেম অথবা জীবন।

‘মামলার সাক্ষী ময়না পাখি’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ শাহাদুজ্জামান এই বইয়ে এক স্তন্যপায়ী প্রাণীর কথা শুনিয়েছেন, যিনি গল্প লেখেন, শুনিয়েছেন এমন একজনের কথা, যাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবস্থান খুব পরিষ্কার, কিংবা যাঁর হাতে টুকরো রোদের মতো খাম, জানিয়েছেন এক চিন্তাশীল প্রবীণ বানর, এক বোধিপ্রাপ্ত উবারচালক, অপস্রিয়মাণ তিরের দিকে তাকিয়ে থাকা এক যুগল আর ওয়ানওয়ে টিকিট হাতে এক বেকুবের কথা, সেই সঙ্গে শুনিয়েছেন এক বৃহস্পতিবারের গল্প, হরিণের মতো এক নারীর গল্প, যে লবঙ্গের বঙ্গ ফেলে দেয়, এক ময়না পাখির গল্প, যে মামলার সাক্ষী দেয়, সবশেষে মুখোমুখি করেছেন দুই নাজুক মানুষকে।

রায়হানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরে। তার বাবা-মা অনেক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিল। কিন্তু তাদের মন সবসময় পড়ে থাকে বাংলাদেশে। রায়হানের বাবা-মা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছেলে-মেয়ে বড় হলে সবাই মিলে দেশে চলে যাবে।
রায়হানকে একারণে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য। দেশটা সম্পর্কে বাবা-মায়ের মুখে অনেক শুনেছে। কিন্তু কখনো আসা হয়নি। সম্পূর্ণ নতুন একটা দেশে রায়হানের নানা অভিজ্ঞতা হতে থাকে। যেই অভিজ্ঞতাগুলো তাকে ভাবতে শেখায়- এ কেমন সমাজব্যবস্থা! রায়হানের অভিজ্ঞতাগুলোই উঠে এসেছে এই বইতে।

"অপরাহ্ণের চিঠি" মূলত চিঠি বিষয়ক একটি বই। এখানে যে চিঠিগুলো সন্নিবেষ্টিত হয়েছে তার বেশিরভাগ লেখিকার কল্পনা প্রসূত আর কিছু চিঠির গল্প লেখিকার জীবনের সাথে মিল রেখে লেখা হয়েছে। বয়স বিবেচনায় এই বইয়ের নামকরণ করা হয়েছে "অপরাহ্ণের চিঠি"। এখানে প্রথমেই বিশেষ চমক রাখা হয়েছে যা লেখিকার পূর্বের প্রকাশিত বইয়ের সাথে মিল আছে।

“অয়োময়” বইটির ভূমিকা
বছর দু্ই আগে ‘উত্তরাধিকার’পত্রিকায় ‘খাদক’ নামে একটা গল্প লিখেছিলাম।নিজের রচনায় সবচে’ বেশি মুগ্ধ হই আমি নিজে। ছাপা অক্ষরের গল্পটা পড়ার পর মনে মনে বললাম-বাহ্ চমৎকার তো, এ-ধরনের গল্প আরো কিছু লেখা যেতে পারে ।
কিন্তু লিখতে পারলাম না। চরিত্র সম্পর্কে ভাসা-ভাসা জ্ঞান নিয়ে কিছু লেখা কঠিন। দু’বছরে গল্প লেখা হলো মাত্র সাতটি। এই সাতটি গল্প নিয়েই ‘অয়োময়’।
গল্প গন্থের নাম নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি হতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশের টিভি এই নামেই একটি সিরিয়েল প্রচার করেছে, যার রচয়িতাও আমি। তবে, টিভি সিরিয়েলের সঙ্গে গল্প গন্থের গল্প গুলোর কোন মিল নেই। অবশ্যি ,দুটি ক্ষেত্রেই চরিত্রগুলো এসেছে ভাটি অঞ্চল থেকে -মিল বলতে এইটুকুই।
পাঠক-পাঠিকারা প্রশ্ন তুলতে পারেন,-‘অয়োময়’নামটি দুই জায়গায় ব্যবহার করা হলো কেন? উত্তর একটিই, কিছু কিছু নাম আমার পছন্দ হয়ে যায়।সেই না গুলোই বারবার ঘুরেফিরে ব্যবহার করতে ইচ্ছে করে।বেশির ভাগ পাঠক-পাঠিকাই আমার এই বদভ্যাসের কথা জানেন। তাঁরা অতীতে আমাকে ক্ষমা করেছেন, নিশ্চয়ই এবারও্ করবেন।
হুমায়ূন আহমেদ
শহীদুল্লাহ হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

‘টয়োটা করোলা’ একটি অভিনব গল্পগ্রন্থ। বহুল আলোচিত বই ‘আধুনিক গরু-রচনা সমগ্র’-এর লেখক মহিউদ্দিন মোহাম্মদ এখানে তাঁর ১৩টি ছোটগল্পকে সংকলিত করেছেন। বহুধারার এই শক্তিশালী গল্পকার আমাদেরকে এ গ্রন্থে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন এক ভিন্ন জঁরার ফিকশনের মুখোমুখি। গল্পগুলো হলো: (১) একটি পুকুর কী বলিতে চায়? — (২) মসজিদের চিঠি — (৩) দেশটি নষ্ট হইয়া গেলো — (৪) মানুষ ও বানরের পার্থক্য — (৫) ভণিতা — (৬) ঈশ্বরের টেলিফোন — (৭) দরখাস্ত — (৮) আমাদের দাদী — (৯) পাখির বাসা — (১০) বিজ্ঞান ছাড়া একদিন — (১১) টয়োটা করোলা — (১২) জার্নি বাই বাস — এবং (১৩) ড্রাইভিং লাইসেন্স। গল্পগুলোর সাধারণ পরিচিতি দেখতে ক্লিক করুন ‘একটু পড়ে দেখুন’ লিংকে। সব বয়সের, সব পেশার, সব লিঙ্গের মানুষের উচিত গল্পগুলোর স্বাদ একবার হলেও আহরণ করা। প্রতিটি গল্পেই লুকিয়ে আছে ভাবনার তীব্র খোরাক, সমাজের বিমূর্ত ছবি।

মানুষের মাংসের রেস্তোরাঁ গ্রন্থের গল্পগুলােয়। লেখক বাস্তবতাকে অতিক্রম করে অবাস্তব এবং পরাবাস্তবতার খােলসে সত্য ও মিথ্যার কৌশলী ব্যবহার ও নিপুণ দক্ষতায় নিজেকে আলাদা করে। তুলেছেন। গল্পহীনতার গল্প নয় এগুলাে; তবে সতর্ক মনোেযােগে গল্প খুঁজতে গেলে পাঠক খেই হারাবেন। কারণ বাস্তবতা এবং পরাবাস্তবতার একই আয়নায় মােজাফফর তার গল্পগুলােকে হাজির করেছেন। যেখানে সমাজের নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা এবং নৃশংসতার নানা চিত্র কখনাে তীব্র শ্লেষে, কখনাে রূপকের মাধ্যমে উঠে এসেছে। ছােটোগল্পের কাজ যদি হয় তার সমকালকে। চিহ্নিত করা, তাহলে মানুষের মাংসের রেস্তোরা। গ্রন্থটির গল্পগুলাে সেই কাজটিতে কতটুকু সফল, তা ভবিষ্যতের জন্য ভােলা থাকুক।

“মধ্যবিত্ত" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
অজস্র স্বপ্ন, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না আর আপনজনকে হৃদয়ের সুতােয় বেঁধে এগিয়ে যাওয়া মানুষগুলাের গল্প । বড়াে আপা, মেজো বুৰ্ব, ছােটো ফুপু, ফারুক ভাই, মিন্টু, ছােটো চাচি, মেজো চাচা, ছােটো কাকা, নিলু আরও কত কত চরিত্র আমাদের মধ্যবিত্ত মানুষের সুখ-দুঃখের সহযােগী। মান-অভিমান, টানাপড়েন, আস্থা, বিশ্বাস-অবিশ্বাস, অবহেলা আর দ্বিধাহীন ভালােবাসার সমদ্র মধ্যবিত্ত জীবন। প্রতিনিয়ত স্বপ্ন পুষে এগিয়ে যাওয়া মধ্যবিত্ত মানুষগুলাে যেমন ঢেড়সভাজি খেয়েও তৃপ্তির ঢেকুর তােলে, তেমনি অজস্র স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট হতাশা আর ক্ষোভও যেন মুড়িয়ে রাখে । অনেকখানি। তারপরও দিনশেষে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ সমুদ্রসম স্বপ্ন আর ভালােবাসা নিয়ে নতুন একটা দিনের প্রহর গােনে। কেন জানি এই প্রহর গােনার মাঝে কী এক তৃপ্তি, ভালােবাসা আর ভালােলাগার মায়া জড়িয়ে থাকে। এই মায়া, মধ্যবিত্তের মায়া। মধ্যবিত্ত গল্পগ্রন্থে পনেরােটি গল্পে ছােটো ছােটো করে সাজানাে এমন অনেক মায়া, ভালােবাসা, ক্ষোভ, হতাশা আর স্বপ্নের স্বাদ প্রতিটি গল্পপাঠেই পাওয়া সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করি।

বিবর্ণ স্ট্রীটের লতাগুল্ম পরিবেষ্টিত শেষ বাড়ীটা প্রান্তদের। প্রান্ত সেই তেরো বছর বয়সী বৃদ্ধ যে অকালে বুড়ো হয়ে এই নরকের উদ্যানের মতো ছোটো শহরে দর্শনীয় বস্তু হয়ে উঠেছে। তার বয়স মাত্র তেরো অথচ চুল পেকে গেছে, অস্বাভাবিক ভাবে গজিয়ে ওঠা দাঁড়িও গেছে পেকে। চামড়ায় পড়েছে প্রাচীন পৃথিবীর পাহাড়ী উপত্যকার ভাঁজ, তামাটে বিবর্ণ মরা পাহাড়ের উষর হৃদয়। ঠিকমতো হাঁটতে পারেনা, কণ্ঠও হয়ে গেছে প্রায় মৃত, শুধু ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় প্রলাপ বকতে পারে। প্রান্ত সেই উচ্ছলতাহীন কিশোর যে ভয়ংকর অনুগত ছিলো তার পিতার। যে পিতার আনুগত্য ছিলো প্রাচীন পৃথিবীর সব বল্লমে, যারা নিয়মের বিপরীতে গেলে গেঁথে যেতো হৃদয়ে আর হৃদয় হয়ে যেতো রক্তশুন্য এক থুড়থুড়ে বুড়ো।