Top 10 Bestseller Bengali Books of Revolution in 2024

Bengali Books of Revolution
Category : 

Bengali literature has always been a fertile ground for revolutionary ideas, mirroring the deep socio-political transformations and the unyielding spirit of its people. As we progress through 2024, the landscape of Bengali literature is experiencing a revival, with a notable increase in the popularity of books that explore revolutionary themes. These works not only delve into historical revolutions but also echo the current struggles and aspirations of the Bengali community.

This year, a collection of new bestsellers has captivated readers, bringing stories of defiance, endurance, and the unwavering pursuit of justice to the forefront. These books, crafted by both established writers and emerging talents, offer innovative perspectives on the timeless quest for freedom, equality, and social change. They encompass a variety of genres, from historical fiction that revisits significant revolutionary movements to contemporary tales that challenge existing norms and envision a brighter future.

The renewed interest in revolutionary literature reflects not just a longing for the past but also a reaction to today's socio-political environment. In a world where the fight for rights, justice, and equality is ongoing, these books underscore the enduring power of literature to inspire action. They create a bridge between past struggles and present challenges, providing readers with both a historical lens and a motivational call to engage with current issues.

Additionally, the success of these books highlights the lasting importance of revolutionary themes in Bengali culture. Whether through the portrayal of historic figures who have left a lasting impact or through the stories of everyday people who resist oppression, these books strike a deep chord with readers. They remind us that the revolutionary spirit transcends specific time periods; it is an ongoing journey of questioning norms and striving for a more just society.

As we delve into the top ten bestsellers of Bengali Books of Revolution 2024, we see how Bengali literature remains a potent force in reflecting and shaping the revolutionary spirit of its people.

১. লেনিনের 'রাষ্ট্র ও বিপ্লব' শত বছর পরের পাঠ, প্রশ্ন ও পর্যালোচনা

"লেনিনের 'রাষ্ট্র ও বিপ্লব' শত বছর পরের পাঠ, প্রশ্ন ও পর্যালোচনা" বইটির প্রথম অংশ থেকে নেয়াঃ
সময়ের দূরবর্তিতা আসলে উপসাগরের মতাে কিছু নয় যে, তার উপর দিয়ে সাঁকো তৈরি করা যায়; এটা আসলেই পৃথক করে ফেলে; কিন্তু এটা আবার যথার্থভাবে এমন একটা প্রক্রিয়ার সহায়ক ভূমি- যেখানে বর্তমান নতুন সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়। এক্ষেত্রে যে সাময়িক দূরত্ব তৈরি হয়-তা যে অতিক্রম করতেই হবে এমন নয়। ইতিহাসবিদদের সরলসােজা একটা পূর্বধারণা ছিল, কোনাে কালের বয়ান বা চিন্তাকে বুঝতে হলে আমাদের বর্তমান চিন্তার আলােকে নয়- বরং সেই সময়ের পটভূমিটিতে নিজেদের স্থাপন করা জরুরি এবং এ পথেই কেবল ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার অভিমুখে চালিত হওয়া সঠিক হবে। কিন্তু ঐতিহাসিক কোনাে বােঝাপড়ার ক্ষেত্রে সময়ের দূরবর্তিতাকে একটা ইতিবাচক ও সহায়ক পরিস্থিতি আকারে শনাক্ত করাই ঠিক হবে।...এটা যেকোনাে বিষয়ের প্রকৃত সত্য অর্থকে পরিপূর্ণতায় উত্থিত হতে দেয়...এতে যে কেবল নিত্যনতুন ভুলের উৎসগুলাে ক্রমে ক্রমে বাদ পড়ে এবং অনেক ধারণা ও চর্চার প্রকৃত মানে তার অস্পষ্টতা থেকে ঘেঁকে বেরিয়ে আসে তাই নয়, বরং ইতােমধ্যে আবির্ভূত হয় বিষয়টি বােঝাপড়ার জন্য নতুন নতুন উৎস। যা দৃষ্টিগােচর করে-অনেক ধারণা ও চর্চার অর্থ খোঁজার ক্ষেত্রে অতীতে কম গুরুত্ব পাওয়া সব উপাদান।...সময়ের এই দূরবর্তিতা একদিকে সেসব সংস্কারের শুকিয়ে মরাও নিশ্চিত করে যেগুলাে ছিল একটি নির্দিষ্ট সময়কে ঘিরে সীমিত শক্তির, তেমনি আবার প্রয়ােজনীয় বােঝাপড়ার জন্য যা জরুরি। স্পষ্টতার সঙ্গে সেসবের উত্থানেরও কারণ হয়ে ওঠে। যেসব দরকারি সংস্কার আমাদের বােঝাপড়ায় সহায়ক সেগুলাে থেকে যেসব অদরকারি সংস্কার ভুল বােঝাবুঝিকে বাড়িয়ে তােলে সেগুলােকে পৃথক করার মধ্যদিয়ে সময়ের উপরােক্ত সাময়িক দূরবর্তিতাই কেবল দার্শনিক গূঢ়তা ভেদের প্রকৃত পদ্ধতিগত সংকট তথা hermeneutics-এরও সমাধান দিতে পারে।



২. লেনিনের 'রাষ্ট্র ও বিপ্লব' শত বছর পরের পাঠ, প্রশ্ন ও পর্যালোচনা

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
ফরাসি বিপ্লব (১৭৮৯) থেকে অক্টোবর বিপ্লব (১৯১৭) এর মানে বুর্জোয়া বিপ্লব তেকে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব উত্তরণের এক কালপর্ব। এই সময়কালের ইতিহাস, বুর্জোয়া বিপ্লব, শ্রমিকশ্রেণীর আন্দোলন ও বিপ্লব, প্যারি কমিউন ও রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এবং আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের আদিপর্বের ইতিহাস আছে তিন পর্বে সমাপ্ত এই গ্রন্থে। তবে ইতিহাস বলতে শুধু ঘটনা প্রবাহই নয়, আরো আছে এই কালের দর্শন, অর্থ শাস্ত্র, সমাজ চিন্তা, বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শ ও সমাজতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা বিকাশের একটি চিত্র। এই কালপর্বে যে সব তাত্ত্বিক বিতর্ক জমে উঠেছিল তার চমকপ্রদ বিবরণ পাওয়া যাবে এই গ্রন্থে। একই সাথে মার্কস-এঙ্গেলস ও লেনিনের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থসমূহের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাবে।

কমিউনিস্ট আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় নেতা হায়দার আকবর খান রনো একটি গ্রন্থের মধ্যেই এতগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন অসামান্য যোগ্যতাসহকারে। লেখকের নিজস্ব লেখার স্টাইলের কারণে অনেক কঠিন বিষয়ও হয়ে উঠেছে সহজবোধ্য ও সুখপাঠ্য।



৩. চীন বিপ্লবের ৭০ বছর

“চীন বিপ্লবের ৭০ বছর" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
চীন বিপ্লবের ৭০ বছর মূলত একটি একাডেমিক গ্রন্থ। এই গ্রন্থটিতে চীনের গত ৭০ বছরের ইতিহাস, চীনের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব, বিপ্লব পরবর্তী চীনা সমাজে দ্বন্দ্ব, চীনের সংস্কার ও শি জিন পিং এর উত্থান ও রাজনীতি নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। বলা যেতে পারে চীনের সমসাময়িক রাজনীতির । একটি চিত্র তুলে আনা হয়েছে এই গ্রন্থটিতে। পাঠক এই গ্রন্থটিতে একদিকে চীনের রাজনীতি সম্পর্কে যেমনি একটি ধারণা পাবেন, ঠিক তেমনি চীনের বৈদেশিক সম্পর্কের ব্যাপারেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। বিশেষ করে চীনের বহুল আলােচিত ওয়ান বেল্ট ওয়ান রােড মহাপরিকল্পনা, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য। যুদ্ধ, হংকং ইস্যু, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে দ্বন্দ্ব। ইত্যাদি নানা বিষয় এই গ্রন্থটিতে আলােচনা করা হয়েছে। আমরা মনে করি চীন সম্পর্কে আমাদের আরাে জানা প্রয়ােজন। চীন আমাদের নিকট প্রতিবেশী ও আমাদের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। চীন বিশ্বরাজনীতির অন্যতম একটি শক্তি। চীন সম্পর্কে যত কথাই বলা হােক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে নয়া বিশ্বব্যবস্থা বিকাশে চীন একটি অবিসংবাদিত শক্তি। চীনের অর্থনৈতিক সহযােগিতা উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি মডেল। এই গ্রন্থটি পাঠ করলে পাঠক চীন সম্পর্কে একটি ব্যাপক ধারণা পাবেন। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পর্যায়েই নয়, বরং সাধারণ পাঠকদেরও চীন সম্পর্কে তাদের জানার যে আগ্রহ, তা অনেক অংশে মেটাবে। গ্রন্থটিতে চীন সম্পর্কে অনেক একাডেমিক প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে, আবার। প্রতিযােগিতামূলক পরীক্ষায় চীন সম্পর্কিত যেকোনাে প্রশ্নের জবাবও এতে খুঁজে পাওয়া যাবে। ৮টি অধ্যায়ে চীনের ইতিহাস, বিপ্লব, সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতির ধারণা ও চীনের বৈদেশিক নীতি আলােচনা করা হয়েছে।



৪. শিল্পবিপ্লব

"শিল্পবিপ্লব" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
১৭৮০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে একটা সুদূরপ্রসারী ও দীর্ঘ সময়ব্যাপী সামাজিক বিপ্লব বিশ্বের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং চিন্তাধারায় আমূল পরিবর্তন বয়ে আনে। আর এই ধরনের পরিবর্তন মানবসভ্যতার ইতিহাসে আগে দেখা যায় নি। এর ফলে বদলে যায় পৃথিবীর বাহ্যিক চেহারা, মৌল কাঠামোতে আসে পরিবর্তন, মানুষের জীবনাচরণ ও জীবনযাপনরীতিতে আসে ভিন্নতা। ঐতিহাসিকগণ এরপর থেকে ‘বিপ্লব’ শব্দটিকে নানাভাবে ব্যবহার করছেন, কখনো তিরস্কার কখনো প্রশংসা হিসেবে। কিন্তু একমাত্র নবপ্রস্তরযুগীয় সামাজিক পরিবর্তন ছাড়া ইতিহাসে বিবৃত এই সময়ের পরিবর্তনই সবচেয়ে গুরুত্ববহ। ইতিহাস ও অর্থনীতির ভাষায় এই বিপ্লবকেই বলা হয় শিল্পবিপ্লব । শিল্পবিপ্লবের আদ্যোপান্ত নিয়েই এই বই।



৫. বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস( ১৮৩০-১৯৭১)

“বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস( ১৮৩০-১৯৭১)" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
সন্ত্রাসীদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাঙ্গনে, সন্ত্রাসের দায়ভাগ ভােগ করতে হচ্ছে এখন ছাত্রদের। দীর্ঘদিন থেকে পাবলিক পরীক্ষায় অবাধে দুর্নীতির সুযােগ করে দেওয়া হয়েছে, ছাত্রদের বানানাে হয়েছে নকলবাজ। এভাবে একটার পর একটা ষড়যন্ত্রের জালে ফেলে জনগণ থেকে ছাত্রদের বিচ্ছিন্ন করার একটি সুদূর প্রসারী চক্রান্ত দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশে সক্রিয় রয়েছে।
কিন্তু দেড়শত বছরের বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের অভিজ্ঞতা বলে, ছাত্ররা এ জিঞ্জির ভেঙেই সদর্পে তার ঐতিহ্যপানে এগিয়ে যাবে। ২০০০ সাল থেকে শুরু হবে একুশ শতকের যাত্রা। এই শতকে ছাত্র আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি নির্ধারিত হবে তার ঐতিহ্যকে সামনে রেখেই। এদেশের ছাত্ররা দীর্ঘদিন থেকেই একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক এবং গণমুখী শিক্ষানীতির জন্য সংগ্রাম করে এসেছে, তাদের সেই আকাঙ্ক্ষিত দাবী পূরণের বিষয়টি এখনাে অপেক্ষিত।
পবিত্র ধর্মের বিকৃত ব্যবহারের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের লড়াই একুশ শতকে আরাে তীব্রতা লাভ করবে এটা ১৯৯৯ সালের নানা ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অমিততেজী বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ তার যােগ্য ভূমিকা পালন করতে আবারও সকল জঞ্জাল ও অপবাদকে পদদলিত করে জাতির পাশে দাঁড়াবে, ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের এই অখণ্ড সংস্করণ প্রকাশের প্রাক্কালে মনের গভীর তলদেশ থেকে সেই কামনা করছি।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস-এর এই সংস্করণ প্রকাশে এর প্রকাশক জনাব । ওসমান গনির পরিকল্পনা, উৎসাহ এবং ভূমিকাই প্রধান। এ বিষয়ে সকল প্রশংসা তারই প্রাপ্য। তবে আগামী প্রকাশনীর আধিকারিক কামরুল হাসান মেনন ও অন্যান্যদের আগ্রহ এবং শ্রমকেও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।



৬. ফরায়েজী আন্দোলন

এদেশের কিছু ক্ষমতালোভী মানুষের শঠতা, মোনাফেকী, গাদ্দারী আর জালজুয়াচুরির ফলে পলাশীর প্রান্তরে বাংলাদেশ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিলো দুই শতাব্দীর জন্য। কিন্তু এদেশের সাধারণ মানুষ ইংরেজ ও তার অনুগত শ্রেণির শাসন-শোষণকে কোনোদিন সহজভাবে, নির্বিরোধে গ্রহণ করেনি। ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনাকাল থেকেই এদেশের সাধারণ মানুষের বিদ্রোহ ও সংগ্রাম বারবার মাথা তোলার চেষ্টা করেছে। সেগুলোর মধ্যে আবার এমন কিছু বিদ্রোহের উত্থান ঘটেছে যাদের মৃত্যুভেরীতে নির্ঘোষে ইংরেজ রাজশক্তি বারবার থরথর করে কেঁপে উঠেছে, যাদের ভয়াবহ রোষের প্রচণ্ডতায় ব্রিটিশের মসনদ হয়ে উঠেছে টলটলায়মান। অসংখ্য কামান, বন্দুকের সামনে বর্শা, কুঠার আর তরবারীর পরাভব ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু সেই পরাভব অকুণ্ঠ আত্মোৎসর্গের গরীমায় উজ্জ্বল। ফরায়েজী আন্দোলন, ওয়াহাবী আন্দোলন, ফকীর সন্যাসীদের বিদ্রোহ সেই গৌরবোজ্জল ইতিহাসের সড়কে এক একটা মাইলস্টোন।
অথচ এদেশের ইতিহাস আমরা যখন পড়ি তাতে এইসব গৌরবের ইতিহাস প্রায় অনুল্লেখিতই থাকে। এর কারণ সাম্রাজ্যবাদের দোসর ঐতিহাসিক ও তাদের দেশীয় অনুচরদের লেখায় এ সকল ইতিহাসকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে এবং ঔপনিবেশিক ইতিহাসকারদের তথাকথিত ইতিবৃত্ত পাঠ করে এই অসম সাহসী আজাদীর যোদ্ধাদের আমরা দস্যু, ডাকাত, বর্বর, ফ্যানাটিক, ম্যাড মোল্লা আখ্যায়িত করতে কুণ্ঠা বোধ করি না। ফলে আমাদের ইতিহাসের এই দিগন্তের পরিচয় এখনও সাধারণ মানুষের কাছে রয়েছে অস্পষ্ট ও অজ্ঞাত।
ফরায়েজী আন্দোলন আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বর্তমান গ্রন্থে মুখ্যত ঊনবিংশ শতাব্দীর সেই বিপ্লবের ইতিহাসের একটি পূর্ণাঙ্গ পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই আন্দোলনের ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং আজকের দিনে এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও করা হয়েছে যথেষ্ট আলোকসম্পাত। ইতিহাস অন্বিষ্ঠ, শিকড় সন্ধানী পাঠক এই বইয়ের মধ্যে পাবেন এক অপূর্ব সুস্বাদ।অথচ এদেশের ইতিহাস আমরা যখন পড়ি তাতে এইসব গৌরবের ইতিহাস প্রায় অনুল্লেখিতই থাকে। এর কারণ সাম্রাজ্যবাদের দোসর ঐতিহাসিক ও তাদের দেশীয় অনুচরদের লেখায় এ সকল ইতিহাসকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে এবং ঔপনিবেশিক ইতিহাসকারদের তথাকথিত ইতিবৃত্ত পাঠ করে এই অসম সাহসী আজাদীর যোদ্ধাদের আমরা দস্যু, ডাকাত, বর্বর, ফ্যানাটিক, ম্যাড মোল্লা আখ্যায়িত করতে কুণ্ঠা বোধ করি না। ফলে আমাদের ইতিহাসের এই দিগন্তের পরিচয় এখনও সাধারণ মানুষের কাছে রয়েছে অস্পষ্ট ও অজ্ঞাত।
ফরায়েজী আন্দোলন আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বর্তমান গ্রন্থে মুখ্যত ঊনবিংশ শতাব্দীর সেই বিপ্লবের ইতিহাসের একটি পূর্ণাঙ্গ পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই আন্দোলনের ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং আজকের দিনে এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও করা হয়েছে যথেষ্ট আলোকসম্পাত। ইতিহাস অন্বিষ্ঠ, শিকড় সন্ধানী পাঠক এই বইয়ের মধ্যে পাবেন এক অপূর্ব সুস্বাদ।



৭. বিদ্রোহী বাঙালি

শিশু-কিশোরদের জন্য লিখে মুনতাসীর মামুন প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন। শিশু-কিশোরদের নিয়ে তার সব লেখা ছয় খণ্ডে কিশোর সমগ্র হিসেবে প্রকাশ হয়েছে। আরও দুই খণ্ড প্রকাশের অপেক্ষায়। এখন খুব একটা তিনি লেখেন না শিশু-কিশোরদের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের ৫০ বছর উপলক্ষে লিখলেন একটি ইতিহাস গ্রন্থ- বিদ্রোহী বাঙালি। এ গ্রন্থে বিভিন্ন সময় বাঙালিদের বিভিন্ন বিদ্রোহের কথা আলোচনা করা হয়েছে। বাঙালিদের অধিকাংশ ছিলেন কৃষক। কেন বারবার বাঙালিরা বিদ্রোহ করেছেন। এ কাহিনিই লিখেছেন তিনি। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা জানতে এ বই অবশ্যই পড়তে হবে।



৮. ভিয়েতনাম বিপ্লব

ভিয়েতনাম বিপ্লব, যা ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, মূলত ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে ঘটে। এই বিপ্লবটি ভিয়েতনামের জনগণকে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছিল। এটি ভিয়েতনামের ইতিহাসে "অগাস্ট বিপ্লব" নামে পরিচিত।



৯. রুশ বিপ্লব 

রুশ বিপ্লব হলো ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় সংঘটিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবের সমষ্টি, যা রাশিয়ার রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থায় বিপুল পরিবর্তন নিয়ে আসে। এই বিপ্লবের ফলে রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী শাসনের পতন ঘটে এবং বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।



১০. স্মৃতিকথায় কিউবা বিপ্লব

কিউবা বিপ্লব ছিল ২০শ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ঘটনা, যা কেবল কিউবা নয়, পুরো বিশ্বের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলেছিল। ১৯৫৯ সালের এই বিপ্লব কিউবার সমাজ, রাজনীতি, এবং অর্থনীতিতে গভীর পরিবর্তন এনে দেয়। ফিদেল কাস্ত্রো, চে গেভারা এবং তাদের সহযোদ্ধাদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই বিপ্লবের ফলে কিউবায় কমিউনিস্ট শাসনের প্রবর্তন ঘটে এবং এই দ্বীপরাষ্ট্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী শীতল সম্পর্কের সূচনা করে।



magnifiercrossmenu