
আধুনিক বিশ্বে সামরিক শক্তি কেবল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতিফলন নয়, বরং একটি দেশের কূটনৈতিক প্রভাব, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও বৈশ্বিক ক্ষমতার মাপকাঠি। গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার (GFP) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সামরিক বিশ্লেষকদের তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৫ সালের সামরিক শক্তিতে শীর্ষ ১০টি দেশের একটি তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের। আধুনিক প্রযুক্তি, সর্বাধুনিক বিমান ও সমুদ্রজাহাজ, ড্রোন এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার এই শক্তির ভিত্তি।
রাশিয়ার সামরিক শক্তি মূলত তার বিশাল স্থলসেনা এবং পারমাণবিক অস্ত্রের জোরে গড়ে উঠেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ দেশের সামরিক কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী আলোচিত।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্থলবাহিনী ও দ্রুত বর্ধনশীল নৌবাহিনী রয়েছে চীনের। দেশটি সামরিক প্রযুক্তিতে দ্রুত উন্নয়ন করছে।
ভারত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সামরিক শক্তি। আধুনিকায়ন ও স্বদেশি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনী আধুনিক প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। দেশটি NATO-র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামরিক দিক থেকে অন্যতম শক্তিধর দেশ। পারমাণবিক অস্ত্র, নিজস্ব অস্ত্র-প্রস্তুত প্রযুক্তি এবং আফ্রিকায় সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া একটি শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক সামরিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
যুদ্ধবিরোধী সংবিধান থাকা সত্ত্বেও, জাপান তার আত্মরক্ষামূলক বাহিনীকে অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তিতে সজ্জিত করেছে।
NATO-র একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তুরস্ক, যার নিজস্ব ড্রোন প্রযুক্তি ও মধ্যপ্রাচ্যে কৌশলগত উপস্থিতি রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান। ভারতের প্রতিবেশী হিসেবে দেশের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি অনেকটাই ভারত-কেন্দ্রিক।
বিশ্বের সামরিক ভারসাম্য দিন দিন প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে। শুধু সৈন্যসংখ্যা নয়, আজকের দিনে যুদ্ধজাহাজ, স্যাটেলাইট, সাইবার সক্ষমতা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সামরিক শক্তি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।