
পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে রহস্য, কল্পনা ও ভয়াবহ ঘটনার সাথে জড়িয়ে থাকা কিছু স্থান। ইতিহাস, কিংবদন্তি, আত্মার গল্প কিংবা অতিপ্রাকৃত ঘটনার কারণে এই স্থানগুলো আজ ‘ভৌতিক স্থান’ হিসেবে পরিচিত। চলুন জেনে নিই এমনই পৃথিবীর ১০টি সবচেয়ে ভৌতিক জায়গা সম্পর্কে।
ফুজি পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত এই বনটি ‘সুইসাইড ফরেস্ট’ নামে কুখ্যাত। শত শত মানুষ এখানে আত্মহত্যা করেছে। এমনকি প্রবেশপথে রয়েছে সাইনবোর্ড: “আপনার জীবনকে মূল্য দিন।” গভীর নিস্তব্ধতা ও কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ একে আরও ভয়ানক করে তোলে।
১৯৮৬ সালের পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর থেকে পুরো শহর জনশূন্য। ভূতুড়ে ভবন, পরিত্যক্ত স্কুল, খেলনারা পড়ে আছে যেভাবে ফেলে রাখা হয়েছিল। রাতের বেলা এই এলাকা ভয়ংকর নীরবতায় ঢেকে যায়।
এই জায়গাটি ‘ডাইনিদের শহর’ নামে পরিচিত। স্থানীয়রা বিশ্বাস করে, এখানে বহু শতাব্দী ধরে ডাইনিরা গোপনে বসবাস করে। অদ্ভুত আওয়াজ, ছায়ামূর্তি এবং অলৌকিক ঘটনা এখানে নিয়মিত।
রাজস্থানে অবস্থিত এই প্রাচীন দুর্গটি ভারতের সবচেয়ে ভৌতিক স্থান হিসেবে পরিচিত। রাতের পর কেউ এখানে থাকতে সাহস করে না। কথিত আছে, এক তান্ত্রিকের অভিশাপেই এই দুর্গ ধ্বংস হয়।
ভেনিসের কাছে এই দ্বীপটি এক সময় প্লেগ রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হতো। পরে এটি একটি পাগলাগারদ ছিল। প্রচলিত আছে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু এখানে হয়েছে এবং আজও সেই আত্মারা ঘুরে বেড়ায়।
এই পুরাতন কারাগারটি এক সময় নিষ্ঠুর শাস্তির জন্য berüchtigt ছিল। বন্দিরা মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেত। বর্তমানে এটি একটি জাদুঘর হলেও অনেকেই সেখানে অদ্ভুত আওয়াজ ও আত্মার অস্তিত্ব অনুভব করেন।
এই এলাকাই ছিল কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার ‘জ্যাক দ্য রিপার’-এর হত্যার স্থান। আজও অনেকেই এখানে রাতে হাঁটলে ছায়া দেখতে পান এবং পুরাতন আর্তনাদ শোনার দাবি করেন।
রাজা হেনরি অষ্টম-এর প্রাসাদ হিসেবে এটি বিখ্যাত হলেও, তার তৃতীয় স্ত্রী জেন সিমোরের আত্মা এখানে ঘোরাফেরা করে বলেই ধারণা। ‘গ্রে লেডি’ নামক এক নারীর ছায়া বহুবার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
রহস্যময় গুহা, অদ্ভুত আলো, এবং গায়েব হওয়া পর্যটকদের কাহিনিতে এই অঞ্চল এক ভৌতিক মরুভূমি। বহু গবেষক এখানকার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।
প্যারিসের নিচে প্রায় ৬০ লক্ষ কঙ্কালের বিশাল এক জগৎ ছড়িয়ে আছে। অন্ধকার গুহাগুলোতে হাড়ের দেয়াল, করোটির স্তূপ এবং চাপা গন্ধ ভয় জাগায়। রাতে এখানে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এই স্থানগুলো শুধু ভয়ের জন্যই নয়, ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং অজানার প্রতি মানুষের কৌতূহলেরও প্রতিচ্ছবি। সাহসী পর্যটকদের কাছে এগুলো যেন অ্যাডভেঞ্চারের চূড়ান্ত গন্তব্য। আপনি কি কখনও এমন কোনো জায়গায় যেতে চান?