
আজকের ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। যোগাযোগ, বিনোদন, কাজ কিংবা পথনির্দেশ—সব কিছুতেই আমরা ফোনের ওপর নির্ভরশীল। তাই ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার মতো অস্বস্তিকর পরিস্থিতি আর কিছুই নয়। তবে ভালো খবর হলো, কিছু সহজ অভ্যাস ও সেটিংস পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব অনেকটা বাড়িয়ে নিতে পারেন।
চলুন জেনে নিই স্মার্টফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার ১০টি কার্যকর উপায়:
ফোনের স্ক্রিন সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি খরচ করে। উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখুন অথবা অটো-ব্রাইটনেস চালু করুন, যেন পরিবেশ অনুযায়ী আলো কমে বা বাড়ে। OLED বা AMOLED স্ক্রিনে ডার্ক মোড ব্যবহার করলেও ব্যাটারি কম খরচ হয়।
যখন ব্যবহার করছেন না, তখন Wi-Fi, Bluetooth, NFC, GPS ও মোবাইল ডেটা বন্ধ রাখুন। এগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করে ব্যাটারি খরচ করে। দুর্বল সিগন্যাল থাকলে এয়ারপ্লেন মোড চালু করুন।
অনেক অ্যাপ আপনি ব্যবহার না করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে এবং ব্যাটারি খরচ করে। ব্যাটারি ব্যবস্থাপনার অপশন থেকে কোন কোন অ্যাপ বেশি চার্জ খরচ করছে তা দেখে বন্ধ বা আনইনস্টল করুন।
প্রায় সব স্মার্টফোনেই ব্যাটারি সেভার বা লো পাওয়ার মোড থাকে। এটি চালু করলে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাক্টিভিটি সীমিত হয়, কিছু পারফরম্যান্স কমে যায়, তবে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর। ফোনকে সরাসরি রোদে বা গরম জায়গায় রাখবেন না। ঠান্ডা আবহাওয়াও ব্যাটারির পারফরম্যান্স কমিয়ে দিতে পারে।
সিস্টেম আপডেট ও অ্যাপ আপডেটে অনেক সময় ব্যাটারি পারফরম্যান্স উন্নত হয়। তাই নিয়মিত ফোনের সফটওয়্যার ও অ্যাপস আপডেট করে রাখুন।
বারবার নোটিফিকেশন আসা মানে ফোনের স্ক্রিন বারবার জ্বলে ওঠে এবং ডেটা সিঙ্ক হয়, যা ব্যাটারি খরচ করে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন।
অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে লোকেশন ব্যবহার করে। সেটিংসে গিয়ে লোকেশন এক্সেস ‘While using the app’ হিসেবে নির্ধারণ করুন বা একেবারে বন্ধ করে দিন।
আপনার ফোন কতক্ষণ নিষ্ক্রিয় থাকলে স্ক্রিন বন্ধ হবে সেটি নির্ধারণ করা যায়। টাইমআউট কমিয়ে দিলে স্ক্রিন কম সময় জ্বলে থাকবে, ফলে ব্যাটারি সাশ্রয় হবে।
নকল বা কমদামী চার্জার ব্যবহার করলে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। তাই মূল চার্জার বা বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের চার্জার ব্যবহার করুন, এতে নিরাপদ চার্জিং নিশ্চিত হয়।
স্মার্টফোনের ব্যাটারি একদিনে ম্যাজিকের মতো দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তবে এসব সহজ টিপস মেনে চললে আপনি প্রতিদিনই বেশি সময় ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, সেই সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাটারির আয়ু বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
স্মার্ট ব্যবহার করুন, চার্জ ধরে রাখুন!