
যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডিরা শুধুমাত্র প্রেসিডেন্টদের স্ত্রী নন—তাঁরা অনেক সময় হয়ে উঠেছেন দেশের সাংস্কৃতিক আইকন, ফ্যাশনের প্রতীক এবং জাতির অনুপ্রেরণা। ইতিহাসজুড়ে বহু ফার্স্ট লেডি তাঁদের সৌন্দর্য, স্টাইল, ব্যক্তিত্ব ও প্রভাবের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। এই ব্লগে আমরা জেনে নেবো আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দরী এবং আকর্ষণীয় ১০ জন ফার্স্ট লেডি সম্পর্কে।
জন এফ. কেনেডির স্ত্রী জ্যাকি কেনেডি ছিলেন স্টাইল, ক্লাস ও সৌন্দর্যের মূর্ত প্রতীক। তাঁর ফ্যাশন সেন্স এখনো অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনি ছিলেন একাধারে ফার্স্ট লেডি ও ফ্যাশন আইকন।
সাবেক ফ্যাশন মডেল মেলানিয়া ট্রাম্প ছিলেন সবচেয়ে গ্ল্যামারাস ফার্স্ট লেডিদের একজন। তাঁর উচ্চতা, মুখের গঠন ও পোশাক নির্বাচনে ছিল আভিজাত্য ও আধুনিকতার ছোঁয়া।
মিশেল ওবামা সৌন্দর্য ও বুদ্ধিমত্তার এক চমৎকার সমন্বয়। স্বাস্থ্যসচেতনতা, শিক্ষার প্রতি উৎসাহ এবং তাঁর প্রাণবন্ত হাসি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে।
এক সময়ের অভিনেত্রী ন্যান্সি রিগ্যান ছিলেন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তাঁর সৌন্দর্য ছিল মার্জিত ও ক্লাসিক ধাঁচের।
কালভিন কুলিজের স্ত্রী গ্রেস কুলিজ ছিলেন প্রাণবন্ত, হাস্যোজ্জ্বল ও চমৎকার রুচির অধিকারী। তাঁর চেহারায় ছিল এক প্রকার সহজাত আভিজাত্য।
রিচার্ড নিক্সনের স্ত্রী প্যাট নিক্সনের ছিল মার্জিত সৌন্দর্য ও স্নিগ্ধ উপস্থিতি। তাঁর পোশাক ও আচরণ সব সময় ছিল পরিমিত ও ক্লাসিক।
হারবার্ট হুভারের স্ত্রী লু হেনরি ছিলেন শিক্ষিত, আত্মবিশ্বাসী এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয়। তাঁর সৌন্দর্যের সঙ্গে ছিল এক দৃঢ় ব্যক্তিত্ব।
ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী জন টাইলারের প্রথম স্ত্রী লেটিটিয়া ছিলেন তাঁর সময়ের অন্যতম রূপসী নারী। যদিও তাঁর ছবি অল্পই পাওয়া যায়, তবে সমসাময়িকরা তাঁকে চমৎকার সৌন্দর্যের অধিকারী বলেই বিবেচনা করতেন।
উরেন হার্ডিংয়ের স্ত্রী ফ্লোরেন্স ছিলেন ট্রেন্ডসেটার। তাঁর চুলের স্টাইল, টুপি ও গহনার ব্যবহার তাঁকে আলাদা করে তুলেছিল।
হ্যারি এস. ট্রুম্যানের স্ত্রী বেস ট্রুম্যান ছিলেন পরিপাটি ও মার্জিত। তাঁর শান্ত সৌন্দর্য ও দারুণ পোশাক রুচি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে।
সৌন্দর্য কেবল বাহ্যিক ব্যাপার নয়, তা একটি ব্যক্তিত্ব, রুচি এবং আত্মবিশ্বাসের সমন্বয়। এই তালিকাভুক্ত ফার্স্ট লেডিরা শুধুমাত্র তাঁদের চেহারার জন্যই নয়, তাঁদের ব্যক্তিত্ব, স্টাইল ও সামাজিক প্রভাবের জন্যও ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁরা প্রমাণ করেছেন—একজন ফার্স্ট লেডি হওয়া মানে শুধু প্রেসিডেন্টের পাশে থাকা নয়, বরং নিজস্ব একটি ইতিহাস তৈরি করা।
আপনার প্রিয় ফার্স্ট লেডি কে? নিচে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!