The 10 Best Bengali Science Fiction Books of 2024

Category : 

In the vibrant literary landscape of Bengali literature, science fiction has carved out a fascinating niche, weaving tales that transcend the boundaries of time and space while reflecting the rich cultural tapestry of the region. As we step into 2024, the genre continues to captivate readers with its imaginative exploration of technological advancements, societal dilemmas, and existential questions. In this blog post, we embark on an exhilarating journey through the realm of Bengali science fiction, highlighting the most captivating and thought-provoking works of the year.

From dystopian futures to speculative visions of alternate realities, these ten books represent the pinnacle of creativity and innovation in Bengali speculative fiction. Each title offers a unique perspective on the intersection of science, humanity, and the unknown, challenging readers to contemplate the possibilities of the universe and their place within it.

Whether you're a seasoned aficionado of Bengali literature or a newcomer eager to discover the wonders of science fiction from the region, this curated list promises to ignite your imagination and inspire a sense of wonder. Join us as we delve into the realms of imagination and explore the best Bengali science fiction books of 2024.

In this exciting atmosphere, we present you with the 10 best Bengali science fiction novels of 2024. From heart-pounding thrillers and epic space adventures to mind-bending explorations of artificial intelligence and gene editing, this list offers something for every sci-fi reader.

Join us as we delve deeper into each book, giving you all the information you need to choose your next captivating read.

1. Onno Jagat অন্য জগৎ by Khondokar Mehedi Hasan

ভালোবাসার মানুষের মৃত্যুতে আরিয়ান দিশেহারা হয়ে গেল। শোক সহ্য করতে না পেরে সে যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৃথিবীই ছেড়ে যাওয়ার তখন বিজ্ঞানী শিহাব উদ্দিন জানালেন অন্য ইউনিভার্স কানেক্ট করার যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন তিনি।
সেখানে হুবহু আমাদের মতোই একই পরিচয়ের মানুষ আছে। এমন হতে পারে সেখানে মারা যায়নি তার ভালোবাসার মানুষ আনিলা। আরিয়ান চাইলে প্যারালাল ইউনিভার্সে গিয়ে খুঁজে দেখতে পারে আনিলাকে। নতুন আশার আলো দেখতে পেয়ে বিজ্ঞানীর যন্ত্রে চেপে অন্য জগতে হাজির হলো আরিয়ান। সেখানে সে পেয়েও গেল আনিলাকে, হুবহু তারই আনিলা। আরিয়ান সেই আনিলাকে তার জগতে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু সেই জগতে কিছু জিনিস তার জগতের মতো না। ছোট কিছু ঘটনার বাটারফ্ল্যাই ইফেক্টে সেখানে বদল হয়ে গেছে বড় কিছু জিনিসের।
সেই জগতে তৈরি হয়েছে মহা ক্ষমতাধর কোম্পানী ওয়াই আর আছে আরাকটা আরিয়ান, তারই মতো। এইসব বাঁধা টপকে আরিয়ান কি অন্য ইউনিভার্স থেকে নিয়ে আসতে পারবে আনিলাকে তার ইউনিভার্সে? কি রহস্য অপেক্ষা করছে সেখানে তার জন্য?

2. The Old World দি ওল্ড ওয়ার্ল্ড by Mostaque Ahmed

রিডিলিন নামের ভয়ংকর এক অজানা প্রাণী আক্রমণ করেছে পৃথিবীকে। পিঁপড়ার মতো আকারের এই প্রাণীগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে পৃথিবীর সকল ধাতব জিনিসকে। মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, গাড়ি, বাড়ি, বিমান, ইলেকট্রিক খুঁটি, সমরাস্ত্রসহ যত ধাতব জিনিস আছে সবকিছুকে অকার্যকর করে দেওয়াই যেন রিডিলিনের কাজ। ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কলকারখানা, ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন, ভেঙে পড়ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। এতে এক মহাবিপর্যয় নেমে আসে পৃথিবীতে। আর এই মহাবিপর্যয়ের নাম ‘রিডিলিন মহাবিপর্যয়’।
বাংলাদেশি ছাত্র নাফিন পড়তে গিয়েছিল ইংল্যান্ডে। সেখানে পরিচয় হয় আর এক বাংলাদেশি ছাত্রী নাইশার সাথে। তাদের ভালোবাসার অগ্রযাত্রার পথে সবকিছু তছনছ করে দিতে থাকে রিডিলিন মহাবিপর্যয়। চরম খাদ্যাভাব আর জাতিগত দাঙ্গা শুরু হওয়ার কারণে হতবিহ্বল সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বিদেশি কাউকে অবস্থান করতে দেবে না ইংল্যান্ডে। তাই দেশে ফিরে আসবে বলে মনস্থির করে নাফিন আর নাইশা। কিন্তু এরই মধ্যে সকল ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে, বন্ধ হয়ে গেছে জাহাজ কিংবা বাস চলাচল। তাই ঘোড়ায় চড়ে আর পায়ে হেঁটে দেশে ফিরে আসার পরিকল্পনা করে নাফিন। তাকে ফিরে আসতেই হবে। কারণ সে তার মায়ের একমাত্র সন্তান এবং তার মা তার জন্য অপেক্ষা করে আছে।
যাত্রা শুরুর পরই তারা বুঝতে পারে গন্তব্যে পৌঁছান কতটা দুঃসাধ্য? কারণ তারা যে আর আধুনিক পৃথিবীতে নেই, অবস্থান করছে আদিম পৃথিবীতে যেখানে রিডিলিনের ভয়ে ধাতুর তৈরি সামান্য একটা ছুরিও সাথে রাখা যায় না! শেষ পর্যন্ত কী নাফিন আর নাইশা ফিরতে পেরেছিল বাংলাদেশে? আর কী পরিসমাপ্তি ঘটেছিল রিডিলিন মহাবিপর্যয়ের? নাকি রিডিলিনই দখল করে নিয়েছিল সম্পূর্ণ পৃথিবীকে?

3. Settlement 37 সেটেলমেন্ট ৩৭ by Asmaul Husna Sanchita

ভাবুন তো? এমন একটা পৃথিবীর কথা, যেখানে উদ্ভিদ আর মানুষের বন্ধু নয়। বরং চরম শত্রু!
এই যে অনায়াসে, বিনা পরিশ্রমে উদ্ভিদকুলের কাছ থেকে আমরা অক্সিজেন পেয়ে আসছি, সেটা যেন সেই পৃথিবীতে এক রূপকথার মতো! আজকের নীরব অনুভূতি বিশিষ্ট এই মানব বন্ধুরা সেখানে স্বার্থহীন একতরফা দাতা হয়ে আর থাকতে চায় না। তারা বুঝে গেছে, মানব জাতিই তাদের ও প্রকৃতির প্রধান শত্রু! তাই এদের পৃথিবীর বুক থেকে নি:শেষ করে দিতে, উদ্ভিদেরা নিজেদের মধ্যে নিয়ে এনেছে নানাবিধ প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক জেনেটিকাল মডিফিকেশন।
সেই পৃথিবীতে মানব সম্প্রদায় এখন বিপন্ন প্রাণী৷ কেবল অল্প কিছু মানুষ টিকে আছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই হয়তো জাতি, ধর্ম, বর্ণ বিভেদ ভুলে একজোট হয়ে গড়ে তুলেছে কিছু সেটেলমেন্ট। তেমনই একটি, সেটেলমেন্ট ৩৭৷
কেমন হবে সেই সময়ের জীবনের গল্প?
মানুষ কী তখন লোভ লালসা দূরে সরিয়ে নিজেদের এবং পৃথিবীকে রক্ষা করতে একসাথে কাজ করবে?
মনুষ্যত্ব ও ভালোবাসা কী টিকে থাকবে সেই সময়ের সমাজে?
নাকি বিপন্ন সেই সময়েও কিছু মানুষের লক্ষ্য থাকবে যেকোন মূল্যে ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে পা রাখার!

4. Jitutsi জিটুৎসি by Zafar Iqbal

রুকাস তাই তার ধারণাটি সঠিক কি না সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য খুব ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে। তার হাতের লাঠিটা সে উঁচু করে সামনের দিকে ধরে রেখেছে। মাঝে মাঝে সেটাকে নাড়ছে। অদৃশ্য রেখাটির কাছে আসতেই তার সামনে ধরে রাখা লাঠিটি হঠাৎ অদৃশ্য তীব্র লেজার রশ্মিতে ঝলসে ওঠে। রুকাস লাঠিটি ফিরিয়ে আনে, উপরের অংশটি ছিন্নভিন্ন হয়ে উড়ে গেছে। এর পর কী ঘটে সেটা দেখার জন্য রুকাস নিঃশব্দে শুয়ে থাকে। কিছু ঘটল না। বোঝা যাচ্ছে একটা স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম চালু করে রাখা আছে। কেউ যেন এই অদৃশ্য রেখা পার হতে না পারে।
কেন? কী আছে এখানে?

5. Mongoler Kanna মঙ্গলের কান্না by Zubair Ahmed

‘কিন্তু আমার বাবার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া স্পেস ডিফেন্স থেকে ইন্টারপ্ল্যানেটারি স্পেসে কোন ওয়ারমেশিন পাঠানোর কথা না, নিওর কথার পিঠেই তীক্ষ্ণ স্বরে বলল লিনা।
উইলিয়ামের দিকে তাকালো নিও। কিছুটা অসহায় লাগছে। সবচেয়ে ভাল হত লিনা যদি এতদিন হাসপাতালে না থেকে তাদের সাথে থেকে বিষয়টার মুখোমুখি হত। এরপর তাকালো লিনার দিকে, ‘জোনাথন পার্কারের সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে’, সাহসটা করেই ফেলল বলে ফেলার। কারণ আজ হোক কাল হোক সেটা জানতে হবে তাকে।
কথাটা শুনে একদম ঝিম মেরে বসে রইল লিনা। প্রফেসর স্মিথের হাতে জিম্মি দশা থেকে তার বাবাকে উদ্ধার করেছে গ্রিনিট। সেই গ্রিনিটকে এখন পরীক্ষা দিতে হচ্ছে সে কতটা নিরাপদ। কতটা আজ্ঞাবহ। আর সেটার দায়িত্বে আছে তার বাবা। মনে হচ্ছে তার চেনাজানা গোছানো পৃথিবীটা এক মুহূর্তের মধ্যে এলোমেলো করে দিয়ে গেল কেউ।

6. Entropy এনট্রপি by Mayisha Farzana

অনেকেই জানতে চান, সায়েন্স ফিকশন কেন শুধু বিদেশি প্রেক্ষাপটে লেখা হয়! আসলেই তো-অবশ্য এখন এই ধারা ক্রমশঃ বদলাচ্ছে। তবে আপনাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে-এই যে আমাদের এই পৃথিবী, এই সৌরজগৎ, এই মহাবিশ্ব-এরকম বৃহৎ স্কেলে চিন্তা করতে গেলে দেশ-জাতির সীমানা কি আসলেও প্রাসঙ্গিক? দিন শেষে আমরা সবাই তো একই ডিএনএ বেজ দিয়ে গঠিত! ভিন্ন সময়, ভিন্ন মহাবিশ্ব হলে ব্যাপারটা অবশ্য অন্য রকম হতে পারে, নাকি পারে না? আমরা যা দেখে অভ্যস্ত, তার বাইরে অন্য কিছু হলে, আমরা কি মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি বা থাকব? এই বইয়ে মোট তেরোটি গল্প আছে। প্রিয় পাঠক, আপনি চাইলেই, প্রথম বারোটি গল্পের মধ্যে যেকোনো গল্পকে প্রথম গল্প হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন, আবার যেকোনো গল্পকে শেষ গল্প হিসেবে চিন্তা করতে পারেন।

7. Trapdoor ট্র্যাপডোর by Dipu Mahmud

আমার অবচেতন মন অদ্ভুত সম্ভাবনার কথা মনে করিয়ে দিলো, এটা প্যারালাল ওয়ার্ল্ড। ট্র্যাপডোর দিয়ে আমি এক জগত থেকে আরেক জগতে ঢুকে পড়েছি। এক জগত থেকে আরেক জগতে প্রবেশের চাবি বা লুকানো দরজা হচ্ছে ট্র্যাপডোর। ব্যাপারটা ঘটেছে অতি স্বাভাবিক এবং সূক্ষ্মভাবে। দুটো ঘটনা যখন অ্যাটোসেকেন্ড মিলিয়ে অবিকলভাবে একটা আরেকটার ওপর প্রতিস্থাপিত হয়েছে, ঠিক তখুনি আমি এক জীবন থেকে আরেক জীবনে চলে এসেছি। আয়নায় পাখি নিজেকে দেখে গ্লাসে ঠোঁকরাতে থাকে।

8. Naba নাবা by Biswajit Das

পড়াশোনা শেষ করেছে নাবা। বেকার। একটা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঢাকা শহরে ঘুরছে। হঠাৎ চোখ গেল একটা বিজ্ঞাপনে। 'আপনি কি আত্মহত্যা করতে চান?' ব্যস্ মাথায় ঢুকে গেল কথাটা। একদিন হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিল, স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করবে। বিজ্ঞাপনে দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছাল ও। তারপরই নাবা নিজেকে আবিষ্কার করল মাটির নিচের এক শহরে। ও নাকি এখানে চাকরি করতে এসেছে! ভাড়াটে যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করতে যেতে হবে। দুর্ভেদ্য পাহাড়, জঙ্গল আর ইলেকট্রনিক বাঁধা পেরিয়ে পৌঁছাতে হবে পানাম নগরীর ল্যাবে। উদ্ধার করে আনতে হবে 'পদ্মনাভ'। কী সেটা? কেনই বা সেটা হাতে পাওয়ার জন্য উদগ্রীব সকল গ্রহের অধিবাসীরা।

9. Trinity O Dr. Malliha ট্রিনিটি ও ড. মালিহা by Mostofa Tanim

বিজ্ঞানী ড. মালিহা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিউটি ফার্মার গবেষক। তার গবেষণার বিষয় জিন এডিটিং। এক গভীর রাতে সে জিন এডিটিংয়ের মাধ্যমে চুল পড়া সমস্যার সমাধান বের করে ফেলে।
কিন্তু এই সমাধান তাকে এনে ফেলে নতুন এক সমস্যার দ্বারপ্রান্তে। ফিসফিসে একটা গলার আওয়াজ শুনতে পায় ড. মালিহা। সেটা তাকে আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে সাবধান করে দেয়। সেই আওয়াজ অন্য কেউ শুনতে পায় না।
অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে তাকে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যেতে হয়। তারপরেও কণ্ঠস্বরটা যখন তখন কানে কানে কথা বলতেই থাকে। এর মধ্যে গভীর এক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পায় মালিহা।
কেউ আর তাকে বিশ্বাস করে না। একসময় তার নিজের কাছেই নিজেকে মনে হয় মানসিক রোগী। কিন্তু সেটাই কি আসল ব্যাখ্যা? জীবন-মরণ সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় ড. মালিহা। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে পুলিশ আর ট্রিনিটি নামের অদৃশ্য কেউ! সায়েন্স ফিকশন লেখক মোস্তফা তানিমের জাদুকরি লেখার গুণে ট্রিনিটি ও ড. মালিহা হয়ে উঠেছে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ দুর্দান্ত থ্রিলার সায়েন্স ফিকশন।

10. Apohrito Samay অপহৃত সময় by Nafi Sharad Ishmam

সিয়ানা চিন্তিত মুখে বললো, "পুনরুত্থানকক্ষের আর মহাকাশযানের সব তথ্য হাতে এসেছে। আমরা ছাড়াও হাজার হাজার এলিয়েন সত্যতা ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে। পৃথিবী খুবই অনিরাপদ অবস্থায় আছে।”
শা আর সাশা একজন আরেকজনের দিকে তাকালো। তারপর সিয়ানার দিকে তাকিয়ে সাশা বললো, “আমরা দু'জনই নিশ্চিত তুমি আভাকে সাথে নিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করতে পারবে।"
সিয়ানা কিছুক্ষণ ভেবে তারপর জিজ্ঞেস করলো, মরফিক রিসোন্যান্স নিয়ে কী করা যায়? শা বললো, “মরফিক রিসোন্যান্স ব্যবহার করার কোনও দরকার নেই। পৃথিবীর মানুষ খুবই ঐক্যবদ্ধ।

magnifiercrossmenu